বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের কে এম হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বিষ্ণুপুর মিশন হাইস্কুলে। শেষদিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতেই মিশন হাইস্কুলে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে কে এম হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা এমনটাই অভিযোগ। মিশন হাইস্কুলের তরফে অভিযোগ পেতেই সেখানে ছুটে যান কে এম হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব সরকার। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে তিনি নিজের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ভাঙচুরে বিরত করার চেষ্টা করেন ধমক দেন ও দু একজন পরীক্ষার্থীর অ্যডমিট কার্ডের ছবি নিজের মোবাইলে তুলে রাখেন।
advertisement
আরও পড়ুন - Dolyatra 2023: ফাগুনের আগুন দেখতে এই বসন্তে অবশ্যই আসুন বাঁকুড়ার পলাশতলায়
এতেই এক পরীক্ষার্থী ক্ষেপে ওঠে বলে অভিযোগ। পরে ওই পরীক্ষার্থী স্কুলে গিয়ে ওই সহকারি প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং রাতে বন্ধুকে নিয়ে শিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হয় এমনটাই অভিযোগ। বিষয়টি পরীক্ষার্থীর বাবা ও মাকে টেলিফোনে জানাতে গেলে তাঁরা টেলিফোনে সহকারি প্রধান শিক্ষককে খুনের হুমকি দেন বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন - Bankura News: উচ্চমাধ্যমিকে বায়োলজিতে অপেরণ নিয়ে প্রশ্ন এলে কীভাবে লিখবেন? জেনে নিন সহজ টিপস!
এরপরই আতঙ্কে ওই শিক্ষক বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। সহকারি প্রধান শিক্ষকের দাবি এই অবস্থায় তিনি যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের দাবি পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও পুরানো শত্রুতার জেরে ওই শিক্ষক গতকাল পরীক্ষার্থীর অ্যডমিট কার্ডের ছবি তুলে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে হেনস্থা করছিল। সেই রাগের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ তাঁরা করে ফেলেছেন বলে দাবি পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের ।
Debabrata Mandal