এই অবস্থায় ওই দুই মৃত রোগীর পরিবারের হাতে 'আক্রান্ত' হন কর্তব্যরত ইন্টার্ণরা। ওই দিনের এই ঘটনা নিয়ে এক মাসে তিনবার তারা রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হলেন বলে জানিয়েছেন। 'কর্মবিরতি'তে অংশ নেওয়া অনির্বাণ মণ্ডল, স্বপ্নিল ভট্টাচার্যরা বলেন, একটা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে দু'জন ইন্টার্ণ 'নাইট ডিউটি'তে থাকেন। ৬০ টি বেডে রোগীর সংখ্যা ৩০০। সেখানে মাত্র দু'জন লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। 'পি.জি' স্টাফ থাকলেও তারা 'অন কলে' ব্যস্ত। ফলে রাতভর এই বিপুল পরিমান রোগীর চাপ দু'জন ইন্টার্ণকেই সামলাতে হয়। রাতের দিকে কোনও 'সিনিয়র' চিকিৎসককে পাশে পাওয়া যায় না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গ্রামে ঢুকে রীতিমত তান্ডব দাতাল হাতির! আতঙ্কে নিদ্রাহীন গ্রামবাসীরা
তাই এবার আর 'প্রতিশ্রুতি' নয়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তারা 'কর্মবিরতি' চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। যদিও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার সহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কথা বললেও তারা তাদের দাবিতেই অনড় থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ভয়ানক! মদের আসরে বচসা! প্রতিশোধ নিতে যুবককে নৃশংস ভাবে হত্যা
যদিও স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ডিন ডাঃ রণদেব ব্যানার্জী বলেন, কোনও কর্মবিরতি চলছে না। ওদের একটু রাগ হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা চালু রয়েছে, ও.টি চলছে। তারা ছাত্র, তাদের সমস্যার বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ গতকাল থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র কোনও ডাক্তারকেই দেখা যায়নি। যদি আর কয়েক ঘণ্টা এইরকম ইমারজেন্সি রোগীদের চিকিৎসা না হয় তাহলে অনেক রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
Joyjiban Goswami





