Bankura: গ্রামে ঢুকে রীতিমত তান্ডব দাতাল হাতির! আতঙ্কে নিদ্রাহীন গ্রামবাসীরা
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
হাতি আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের। বেশ কিছুদিন ধরে তিনটি রেসিডেন্সিয়াল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গঙ্গাজলঘাটি সহ বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের একাধিক গ্রাম।
#বাঁকুড়া : হাতি আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের। বেশ কিছুদিন ধরে তিনটি রেসিডেন্সিয়াল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গঙ্গাজলঘাটি সহ বাঁকুড়া উত্তর রেঞ্জের একাধিক গ্রাম। প্রায় দিন রাতে গ্রামে হানা দিচ্ছে হাতি। ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন শাক সবজি থেকে বাড়ি ঘর। এবার একটি দলছুট দাঁতাল হাতি লোকালয়ে চালাল অবিরাম তান্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কেঁন্দুয়াডিহি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বুধবার গভীর রাত্রি নাগাদ একটি দলছুট হাতি লোকালয়ে ঢুকে অবিরাম তাণ্ডব চালাতে থাকে। তান্ডবরত ওই গজরাজকে দেখেও গ্রামবাসীরা নিরুপায় হয়ে দেখতে থাকে সেই দৃশ্য।
advertisement
ওই দাঁতাল বুনো হাতিটি বেশ কয়েকটি দোকানে হামলা চালায়। কোথাও ভাঙলো বাড়ি আবার কোথাও দোকানের চালের বস্তা, তেলের টিন, আলু বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন এই গ্রামে বুনো হাতির আগমন লেগে থাকে বছরভর। প্রতিনিয়ত হাতি আতঙ্কে এবং হাতির সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয় তাদের। কখনও রাতের পর রাত জেগে বুনো হাতির আক্রমণ থেকে ফসল এবং গ্রামের মাটির বাড়িগুলি বাঁচাতে গ্রামের মানুষদের দিতে হয় পাহারাও।
advertisement
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত একটা আতঙ্ক গ্রাস করে আছে তাদের। বুনো হাতির দলকে ড্রাইভ করার জন্য বনদপ্তর একাধিক পদক্ষেপ নিলেও গ্রামগুলোতে হাতির আক্রমণ লেগেই থাকে। হাতি যেন তাদের গ্রামের নিত্য সঙ্গী। গ্রামবাসীরা তাদের ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বন দপ্তরের কাছে এবং তাদের কাতর আর্জি আর একটু সচেতন হোক বনদপ্তর। এই হাতিগুলোর জন্য বনদপ্তরের পক্ষ থেকে নেওয়া হোক কড়া পদক্ষেপ যাতে হাতিগুলি জঙ্গল সীমানা থেকে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে না পারে।
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক সঞ্চিতা ব্যানার্জি বলেন, রাত তিনটে নাগাদ ওই বুনো দাঁতাল হাতিটি এসে অত্যাচার চালায় তাদের দোকানে। একদিকে হাতিতে ভেঙে দিয়েছে দোকান অপরদিকে দোকানের ভিতরে থাকা চালের বস্তা আলুর বস্তা সমস্ত কিছু মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। এই দোকানের উপর নির্ভর করে চলে সংসার তাই তিনি চান এই ক্ষতির পূরণে একটু সরকারি সাহায্য।
advertisement
Joyjiban Goswami
Location :
First Published :
September 01, 2022 7:14 PM IST