উল্লেখ্য গুরুপদ আচার্য নামে ওই ব্যাক্তি জয়পুরের গোপালনগর গ্রামে গাজন মেলায় ৫০০ টাকার জাল নোট ব্যবহার করে খেলনা কেনার চেষ্টা করে। কিন্তু দোকানদারদের সন্দেহ হওয়ায় প্রথমে তাকে আটকে রাখা হয় এবং পরে গণপ্রহার দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গুরুপদকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
advertisement
জানা যায় বিষ্ণুপুর থানার তালডাংরা বিষ্ণুপুর রোডের কাছে ফরেস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় বাড়ি গুরুপদ আচার্যর(৫৯)। বাঁকুড়া জয়পুর থানার পুলিশ শুরু করে তদন্ত। আর তদন্ত চালাতেই হাতেনাতে মেলে সাফল্য। তল্লাশি চালিয়ে জাল নোট ছাপার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বিষ্ণুপুরের সত্যজিত সরণিতে গুরুপদ বাবুর বাড়ী ও বাড়ী লাগোয়া স্টুডিওতে যৌথ অভিযান চালায় জয়পুর থানার পুলিশ এবং বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। স্টুডিও থেকে উদ্ধার করা হয় প্রিন্টার,স্ক্যানার,নোট ছাপার কাগজ সহ অন্যন্য সামগ্রী। এবং সাথে ছাপানো জাল টাকার বান্ডিলও উদ্ধার হয়। এই উদ্ধার হওয়া জাল নোটের বর্তমান বাজার মূল্য ১লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৬০ টাকা।
আরও পড়ুন - সেই আট বছর থেকে তিনি সবুজ সাথী! সারেঙ্গার গাছ দাদু লাগিয়েছেন পাঁচ হাজারের অধিক গাছ
আরও পড়ুন - জেলার মাধ্যমিকের কৃতীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ধৃত গুরুপদর বিরুদ্ধে 489B/489C,489D,489E ধারায় মামলা দাখিল করা হয়েছে জয়পুর থানার পক্ষ থেকে।তদন্তকারি পুলিশ আধিকারিকরা এখন খতিয়ে দেখছেন গুরুপদ বাবুর এই জাল নোট ছাপার কারবার তার ব্যক্তিগত উদ্যোগই তিনি চালিয়ে আসছিলেন,না এর সাথে কোন বড়ো চক্র জড়িয়ে রয়েছে এই জাল নোটের রহস্যের পিছনে। এছাড়াও নোট ছাপার কাগজ,কালি গুরুপদ বাবু কোথা থেকে কিনতেন। এসব তথ্য জানতে পুলিশ ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে গুরুপদ কে। এই ম্যারাথন জেরার মাধ্যমে হয়তো আরও কোনো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে পুলিশের হাতে যা তাদের তদন্তের আরো অগ্রগতি বাড়াবে।