বেশ কিছুদিন ধরে এমনই কয়েকটি ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের ফাঁদে পা দিয়ে সোনার গয়না খুইয়ে বসেন জেলার বেশ কিছু মহিলা। এই ছিনতাইবাজদের ধরার জন্য এরপরই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। তালড্যাংরায় নাকা চেকিংয়েরর সময় অভিযুক্ত ওই দুই ছিনতাইবাজ গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। জেরায় একপর্যায়ে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে। ধৃতদের নাম রোহিত কুমার সাউ এবং মিথিলেশ কুমার সাউ।
advertisement
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ, আদ্রা স্টেশনে যাত্রীদের জন্য চালু হল লিফট ও ফুট ওভারব্রিজ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রোহিতের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায়। আর মিথিলেশ বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা। এরা মূলত গ্রামের সরল বৃদ্ধা এবং একাকী গৃহবধূদের লক্ষ্য বানাত। তারপর সুযোগ বুঝে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিত।
কীভাবে তারা এই ছিনতায়ের কারবার ফেঁদেছিল তাও পুলিশকে বলেছে রোহিত ও মিথিলেশ। কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে প্রথমে কাঁসার বাসন পরিষ্কার করত। সেগুলো চকচকে হয়ে ওঠায় মহিলাদের বিশ্বাস তৈরি হত তাদের উপর। এরপর সোনার গয়না চকচকে করে দেবে বলত। বাড়ির মহিলারা চকচকে করার জন্য তাদের হাতে গয়না দিলে সেটি একটি দ্রব্যের মধ্যে ঢুকিয়ে দিত। তারপর একইরকম দেখতে আরেকটি প্যাকেট বের করে জলে ডুবিয়ে রেখে দিতে বলত আধঘণ্টা। এরপর আসল প্যাকেটটি নিয়ে চম্পট দিত এই দুই দুষ্কৃতী। অবশেষে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করার হাত হাঁফ বেঁচেছে জেলার মানুষ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি