পুলিশ সূত্রে জানা যায় গুরুপদ আচার্য নামে ওই ব্যাক্তি জাল নোট দিয়ে বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করে অল্প দাম মিটিয়ে যা ফেরৎ পেত সেটাই হত তার রোজগার। অর্থাৎ ৫০০ টাকার নোট দিয়ে সে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মূল্যের জিনিস কিনত। আর বাকী আসল টাকা যেটা ফিরে পেতও সেটা ছিল তার আয়। এভাবে প্রতিদিন চলত তার ব্যবসা। দিন দিন মোটা টাকার অঙ্কের আয় হত তার। প্রতিদিনের মতো গতকালও একই কায়দায় জয়পুরের গোপালনগর গ্রামে ৫০০ টাকার জাল নোট দিয়ে খেলনা কিনতে গিয়েছিল অভিযুক্ত গুরুপদ আচার্য।
advertisement
আরও পড়ুন: "আমার অনুষ্ঠানের ধরণ আর রূপঙ্কের ধরণ এক নয়! অনুমতি ছাড়া নাম জড়ান কেন?" প্রতিবাদে রূপম ইসলাম
গুরুপদর নোট যে জাল তা টের পেতেই তাকে ঘিরে ফেলে গ্রামের মানুষ।এরপর তার কথায় অসংগতি মেলায় গ্রামের লোকেরা গণপিটুনি শুরু করে দেয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে ফাঁস হয় তার জাল নোটের রহস্য। পুলিশ সূত্রে জানা যায় , বিষ্ণুপুর থানার তালডাংরা বিষ্ণুপুর রোডের কাছে ফরেস্ট অফিস লাগোয়া এলাকার বাদিন্দা গুরুপদ আচার্য (৫৯)। তার বাড়িতে এবং স্টুডিওতে তল্লাশি চালাতেই জাল নোট ছাপার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
তার স্টুডিও থেকে উদ্ধার করা হয় প্রিন্টার,স্ক্যানার,নোট ছাপার কাগজ সহ অন্যন্য সামগ্রী। এবং সাথে ছাপানো জাল টাকার বান্ডিলও উদ্ধার হয়। এই উদ্ধার হওয়া জাল নোটের বর্তমান বাজার মূল্য ১লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৬০ টাকা। উদ্ধার সমস্ত সামগ্রী বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। তবে এই জাল নোট কারবারের সাথে আরও কারা কারা যুক্ত আছে বা এই কারবারে কোন বড় চক্র যুক্ত আছে কিনা তা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখা শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের ৪৮৯B/৪৮৯C ধারায় মামলা শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
JOYJIBAN GOSWAMI