কথিত, মল্লরাজ জগৎমল্ল বেরিয়েছিলেন শিকারের উদ্দেশে। পথ হারিয়ে এক সময় ক্লান্ত হয়ে আশ্রয় নেন বটবৃক্ষের নিচে। কথিত আছে সেই বটবৃক্ষের নীচেই মল্লরাজ জগৎমল্লর সঙ্গে ঘটে একাধিক অলৌকিক অভিজ্ঞতা। বটগাছের নীচে তৈরি হয় সুবিশাল মন্দির। ঘন জঙ্গল কেটে মল্ল রাজধানী সরিয়ে আনা হয় বিষ্ণুপুরে। শোনা যায় একসময় নরবলি হত পুজোয়। তবে পরবর্তীকাল মল্লরাজ বৈষ্ণব ধর্মের ছত্রছায়ায় আসার পর বন্ধ হয়ে যায় নরবলি। পরিবর্তে তোপ দেগে ঘোষণা করা হয় পুজোর সমস্ত নির্ঘণ্ট। আজও স্থানীয় মূর্ছা পাহাড় থেকে ছোট তোপ দেগে জানান দেওয়া হয় মায়ের আগমন।
advertisement
কালের কালান্তরে হারিয়ে গেছে, সুবিশাল রাজ্যপাট। নেই বিশাল রাজপ্রাসাদ। মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরের সব জায়গায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তবে আজও বোধনের ১৫ দিন আগে শুনতে পাওয়া যায় তোপধ্বনি। আনন্দে মাতেন বিষ্ণুপুরবাসী।