বই পড়তেই ভালবাসেন বাসন্তী গুপ্ত। তিনি সকলকে গীতা পড়ার উপদেশও দেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের মা বাসন্তী গুপ্ত স্বাধীনতার আগের এবং পরের এদেশ দুই দেখেছেন। ১৯-২০ বছর বয়স থেকেই শুরু করেছিলেন গীতা পাঠ। যা এখনও অভ্যাসবশত পালন করে চলেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে বাসন্তী গুপ্তের গীতা পাঠ শুনতে একসময় জমা হতেন জনা কুড়ি মহিলা। ভরতি হয়ে থাকত ঘরের উঠোন। এই বিষয়ে বাসন্তী দেবী জানান, \”গীতা পাঠ করতে ভাল লাগে, সবার করা উচিত। ভালো জিনিস সবার করা উচিত।\”
advertisement
আরও পড়ুন: যজ্ঞের অঙ্গারে চক্ষুদান হয় বিপ্লবী রাজবাড়ির দুর্গা প্রতিমার! গল্প জানলে অবাক হবেন
যত বড় জীবন তত বেশি অভিজ্ঞতা। ভাল মন্দ মিশিয়ে এগিয়ে চলে মানুষের জীবন। ৯৬ বছর বয়সে এসে দাঁড়িয়েও বাসন্তী গুপ্ত নিজের পছন্দের কাজটা করে চলার চেষ্টা করেন। চোখের দৃষ্টি শক্তি কমেছে। ক্ষয় ধরেছে কোমরে। তবুও চর্চা যেন তাঁকে করতেই হবে। তবুও জীবনের ধাক্কায় আজ অনেকটাই মুষড়ে পড়েছেন তিনি। বড় ছেলে তপন গুপ্ত জানান যে তাঁর মা নিজের সন্তানদের ইহলোক ত্যাগ করতে দেখেছেন। এরপর থেকেই যেন ধীরে ধীরে প্রাণোচ্ছল ভাব কমেছে বাসন্তী গুপ্তের মধ্যে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধন করা পুজো ‘উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সবুজায়ন’-এর বার্তা দিচ্ছে
প্রতিদিনের সাধারণ গল্প এবং জীবন অভিজ্ঞতার ভিড়ে বাঁকুড়ার ৯৬ বছরের এই বৃদ্ধার গল্প যথেষ্ট নজরকাড়া এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ভারত পাকিস্তান ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির মতই ছাতনাবাসী অপেক্ষা করছেন বাসন্তী গুপ্তের সেঞ্চুরির জন্য।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী