খবর পেতেই দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ততক্ষণে বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সমরেন হালদার। নামানো হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।পুলিশ মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঠিক কি কারণে খুন সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে দুয়ারে মিলছে সস্তায় টাটকা মাছ! চালু হল সরকারি পরিষেবা,কী কী মাছ পাবেন?
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে , দুই জনই পূর্ব পরিচিত। মাঝে মধ্যে কথা বার্তা হত দু'জনের। হোলির দিন দুপুর বেলা মদ্যপ অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে বটতলা এলাকায় বচসা বাঁধে। তারপর অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে দেবাশিষ চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আর তার পরেই অভিযুক্ত প্রদীপ খুনের ছক কষে। এদিন সন্ধ্যার পর সুযোগ বুঝে বটতলাতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হাজির হয় সে। সন্ধ্যার সময় বটতলা এলাকায় দেবাশিষ সরকার এক নাবালকের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় ওই নাবালক মোবাইল দেখছিল।আর তখন প্রদীপ গুরুং নামে অভিযুক্ত ঘটনাস্থলে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়। বাড়ি ভাঙা জনিত বিষয় নিয়ে দুই জনের মধ্যে কথা বলতে শুনতে পান স্থানীয়রা।তারপরেই ধারাল অস্ত্র নিয়ে দেবাশিসের গলায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে দেবাশীষ।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর হাকডাকে স্থানীয়রা জড় হন। অভিযুক্ত বাড়ি থেকে যখন ধারাল অস্ত্র নিয়ে বের হয় তখন পিছনে অভিযুক্তের মা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ছেলের কুকীর্তির কথা মেনে নিতে না পেরে স্থানীয়দের একাংশকে জানান। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত অধরা।
Annanya Dey