জলপাইগুড়ি: এ বার থেকে শুরু হল 'দুয়ারে মাছ'। দুয়ারে দুয়ারে জ্যান্ত মাছ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল, বাটা, শিঙি, মাগুর-সহ সমস্ত রকম মাছই একেবারে জ্যান্ত অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। গ্রাহকদের সামনেই ওজন করে, কেটে পরিস্কার করে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মাছ। মাছ জ্যান্ত রাখার জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। বাজার দর থেকে অনেক কম দামে সম্পূর্ণ তাজা মাছ কিনতে পারছেন গ্রাহকরা। আর এই সব মাছ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এমন প্রকল্প প্রথম বলে জানা গিয়েছে। মৎস্য দফতরের উদ্যোগে দেওয়া চার চাকার ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে এই তাজা মাছ সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন জেলাশাসক। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বাসিন্দা মৎস্যচাষি কেয়া রায়ের মাধ্যমে প্রথম শুরু হয়েছে এই প্রকল্প। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে 'জীবন্ত মাছের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র'।
আরও পড়ুনঃ পূর্ণিমার চাঁদের আলো মাখা বিশেষ চা পাতা, বাজারে নাম 'মুনলাইট চা'! প্রচুর দাম
কুড়ি লক্ষ টাকার এই প্রকল্পের জন্য কেয়া রায়কে ১২ লক্ষ টাকা সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মোটরবাইক, টোটো ও ভ্যান রয়েছে। কেয়া রায়ের বাড়ি ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকায়। নিজের বাড়িতে প্রায় ২৫ বিঘা জমি জুড়ে পুকুর রয়েছে তাঁর। রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল, বাটা, শিং, মাগুর, কই মাছের পাশাপাশি সেখানে তিনি চাষ করেন পোনা, পাবদা, ট্যাংরা-সহ আরও অনেক রকমের মাছ। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে তাজা মাছ পৌঁছে দেওয়া। এতে মাছ বিক্রেতারা যেমন উপকৃত হবেন তেমনই উপকৃত হবেন গ্রাহকরাও।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri