তবুও কিছু জনগোষ্ঠী এখনও প্রকৃতির মধ্যেই দেবতাকে খুঁজে পান। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে এমনি বেশ কিছু জাতি-উপজাতির মানুষ। তাদের মধ্যে ভুজেল জনজাতি অন্যতম। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় এই উপ-জনজাতির বসবাস। বছরে এই সময় তাঁরা পালন করেন ‘সকেলা’ উৎসব বা উধৌলি। শীতের সময় যখন ফসল ওঠে তখন হয় ‘সকেলা’ বা উধৌলি উৎসব আয়োজিত হয়।আরেকটি মতে বলা হয় এই পুজো করে গৃহপালিত পশুদের নিয়ে পাহাড় থেকে নীচে নেমে আসে ভুজেল জনজাতির মানুষেরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতীক্ষার অবসান! নর্দমা পরিস্কারের কাজ চলছে আলিপুরদুয়ারে
উধৌলি উৎসবটি হয় ফসল কাটার সময়ে। সেই সময় জল, বায়ু, আকাশ, মাটি আর আগুনের কাছে ভালো ফসল পাওয়ার জন্য পুজো নিবেদন করা হয়। এমনকি মাটির বুক চিরে ফসল কাটার ‘অপরাধে’ ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় প্রকৃতির কাছে। সেই সঙ্গে ভগবান ‘প্রকৃতি’র কাছে তাদের প্রার্থনা মাটিতে যে সব কীটপতঙ্গ থাকে তাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আবার শীতের সময় প্রকৃতিরূপী সমস্ত দেবতাকে পুজো নিবেদন করা হয় ভালো ফসল পাওয়ার জন্য ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে পুজোটি হয়।
আরও পড়ুনঃ ফের দুর্নীতির অভিযোগ! পরীক্ষা না দিয়েও আশাকর্মীর চাকরি এক মহিলার!
নিজস্ব সংকৃতির নাচে গানে ভরপুর হয়ে উঠেছিল পাহাড়ি গ্রাম দলসিংপাড়া। সেখানে গিয়ে দেখা যায় একটি গাছ তলায় পঞ্চ তত্বের পুজো চলছে। পাঁচটি মাটির ঢিবি বানিয়ে তাতে ফসল দিয়ে পুজো করা হয়। উৎপাদিত ফসলের একটি অংশ উৎসর্গ করা হয় দেবতাকে। ভুজেল জনজাতির মানুষেরা নিজেদের সাংস্কৃতিক পোশাক পরে এই পুজোয় অংশ নেন।
Annanya Dey