জেলা পুলিশের তৎপরতায় বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি আর্থ মুভার। গত ১৯ মে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার কাছে এই ভাবে বালি-পাথর উত্তোলনের প্রতিবাদ জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন উত্তর মেন্দাবাড়ির বাসিন্দারা। অভিযোগ ছিল, তার পরও দিনেরাতে কালজানি নদীর বুক চিরে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকায় চলছিল আর্থ মুভারের সাহায্যে বালি-পাথর উত্তোলন। ওই অবৈধ কারবার রুখতে এককাট্টা হন এলাকার মানুষ। তাদের মিলিত প্রতিবাদই এলাকাছাড়া করেন ওই অবৈধ বালি কারবারিদের। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বাজেয়াপ্ত করে একটি আর্থ মুভার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মহাকাল ধাম যেতে ভরসা থার্মোকলের ভেলা! সমস্যায় মানুষ
১৯৯৩ সালের ভয়াল বন্যার স্মৃতি এখনও কালচিনি ব্লকবাসীর কাছে টাটকা। চোখের নিমেষে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রামটা। বেশ কিছুদিন ধরে যে ভাবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আর্থ মুভার দিয়ে নদীর বুকে গর্ত করা হচ্ছিল তাতে ফের বানভাসি হওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে জানায় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। যার প্রভাব থেকে মুক্তি পাবে না জেলা শহর আলিপুরদুয়ারও। স্বাভাবিক কারণেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়ে প্রতিবাদের পথ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ বলে জানা যায় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে। ফের অবৈধভাবে নদী থেকে বালি পাথর তোলার অভিযোগ ওঠে কুমারগ্রাম থেকে। জেসিবি লাগিয়ে করা হচ্ছিল অবৈধভাবে বালি পাথর তোলার কাজ।
আরও পড়ুনঃ মর্মান্তিক! কালচিনিতে গরু চড়াতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু বৃদ্ধের
মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওরাঁও । বর্ষার সময়ে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে নদী থেকে বালি পাথর তোলা নিষিদ্ধ ৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে বালি পাথর তোলা হচ্ছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সংকোশ নদী থেকে বালি পাথর তোলার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে । ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, আট-দশটি জেসিবি নদী থেকে বালি পাথর তোলার কাজ করছে । নদীর পাশে বালি পাথর তুলে স্তুপ করে রাখা হয়েছিল । সেখান থেকেই কোচবিহারে ও বাংলাদেশে বালি পাচার হচ্ছে বলে বিধায়কের অভিযোগ ।
Annanya Dey