আলিপুর দুয়ার জেলা সদর থেকে ২০ কিমি দূরে ডুয়ার্সের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র চিলাপাতা। ডুয়ার্সের অন্যতম বড় বনাঞ্চল এই চিলাপাতা ফরেস্ট। দীর্ঘ তার পরিসর। তোর্সা নদীর পাড়ে রয়েছে এই চিলাপাতা ফরেস্ট। এ ছাড়াও অনেক ছোট বড় নদী রয়েছে। চিলাপাতার গহীন জঙ্গলের সবটা একদিনে দেখে শেষ করা যায় না। এতটাই বড় এই জঙ্গল। গাইডরাও সব জায়গা ঘুরিয়ে শেষ করতে পারে না। পর্যটকদের সংখ্যাও এখানে অনেকটা কম।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর 'বেনামী' সম্পত্তির মালিক, কে এই আব্দুল লতিফ? বিস্ফোরক তথ্য চমকে দেবে
চিলাপাতার জঙ্গলের একটা বড় ইতিহাস রয়েছে। এই জঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে কোচ রাজাদের মৃগয়াক্ষেত্র। এখানে তাঁরা শিকার করতে আসতেন। কোচরাজার সেনাপতি ছিলেন চিল্লা। তিনি চিলের মতো ছোঁ মেরে শত্রু নিধন করতে পারতেন। তাঁর নামেই এই অরণ্যের নাম রাখা হয়েছিল চিলাপাতা। রেঞ্জ অফিস থেকে পারমিট করিয়ে তবে এই জঙ্গলে প্রবেশ করা যায়। সকাল ৫'টা থেকে চলে জঙ্গল সাফারি। বিকেল ৫টায় শেষ সাফারি। কোচ রাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষেরও দেখা মেলে সেখানে। গণ্ডার, হাতি, গাউরের মত একাধিক জন্তুর দেখা মিলবেই। হরিণ, বাইসন তো রয়েছে। আবার বাঘ, চিতাবাঘেরও দেখা মিলতে পারে ভাগ্য সদয় থাকলে। চিলাপাতা জঙ্গলের মধ্যেই রয়েছে নল রাজাদের গড়। সেটা ভগ্ন প্রায় দশা। কিন্তু গাইডরা সেই নল রাজাদের গড়ের কাহিনী শুনিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন: সুকন্যাকে জেরা করতে অনুব্রতর বাড়িতে CBI, বেরিয়ে এলেন মাত্র ১০ মিনিটেই! বাড়ছে রহস্যে
চিলাপাতায় গড়ে উঠেছে একাধিক রিসোর্ট, হোম স্টে। মাঝে পর্যটকদের দেখা মিলেছে। কিন্তু এ বছর পুজোর প্রাক্কালে বুকিং নেই চিলাপাতায়।চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের কপালে। তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যাতে চিলাপাতা পর্যটন নিয়ে প্রচার চালানো হয়। পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায় একটু ভেতরে হওয়ায় এই পর্যটনস্থল সম্পর্কে অনেক পর্যটক ঠিকমতো জানেন না। রাজ্য সরকার এগিয়ে না এলে ব্যবসায় কালো মেঘ ঘনিয়ে আসবে।
Annanya Dey