শেষাদ্রীবাবু নিজের বাড়ির ছাদে ৩৫০ টিরও বেশি প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকার বাগান করেছেন। আর তাতেই ফুটেছে অগণিত ফুল। যার আনুমানিক সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সম্পূর্ণ ছাদজুড়ে ফুটে আছে হরেক রকমের চন্দ্রমল্লিকা ফুল।
শেষাদ্রীবাবু জানান, পরিবার সূত্রেই তাঁর এই ফুলবাগানের শখ। ছোট থেকেই ঝোঁক ছিল ফুল গাছ পরিচর্যার। যদিও কাজের চাপে সেভাবে বাগান করা হয়ে ওঠেনি। তিন বছর আগে লকডাউনের কারণে সেভাবে কাজ না থাকায় তিনি এই ফুলবাগান তৈরিতে হাত লাগান। বলতে গেলে করোনার কারণেই এই ফুল বাগান গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। বিগত তিন বছরে প্রায় সাড়ে তিনশ প্রজাতিরও বেশি চন্দ্রমল্লিকা ফুল ফুটিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর এই বাগান দেখতে উপস্থিত হচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতীয় যোগের চর্চা পাড়ায় পাড়ায়, বজবজে দেখা গেল মানব পিরামিড!
লকডাউনের সময় সকাল থেকে সন্ধে সম্পূর্ণ সময়টাই শেষাদ্রীবাবু দিতেন এই ফুল বাগানে। প্রতিটি গাছে জল দেওয়া থেকে শুরু করে সার দেওয়া তাঁর জীবনের অন্যতম অঙ্গ। বাগান পরিচর্যা, ফুল সম্পর্কিত যাবতীয় কাজই করেছেন একা হাতে।আনুমানিক ৩০,০০০ টাকা প্রতিবছর খরচ করতে হয় এই গাছের পরিচর্যায়। বর্তমানে বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁর এই ফুল দেখে পুষ্প প্রদর্শনী এবং ফুল কেনার জন্য ডাক আসছে। যদিও পেশায় ঠিকাদার শেষাদ্রীবাবু তাঁর এই শখের গাছ বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁর ছাদ বাগান দেখতে আসছে ফুল প্রেমীরা। সান্ধ্যাকালীন আড্ডা, ফটোশুট থেকে শুরু করে গানের আসর পর্যন্ত বসছে তাঁর এই ছাদ বাগানে।
অনন্যা দে