গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে ওই এলাকায় সেতু তৈরি করা হয়েছে। দুই প্রান্তের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে প্রশাসন। কিন্তু দুই এলাকায় সেতুবন্ধনের কাজে কাঠবেড়ালির ভূমিকায় ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন, দাবি গ্রামবাসীর। দেখা গেল, সাড়ে এগারো মিটার দীর্ঘ ও দুই মিটার চওড়ার সেতু তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে । পরিকল্পিত বরাদ্দ ছিল তিরিশ লাখের বেশি টাকা। চতুর্দশ আর্থিক কমিশনের বরাদ্দকৃত অর্থে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামোন্নয়ন দফতর এই সেতুর কাজ শুরু করে। ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত এই কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারের বাগান ও আলুক্ষেতে দিনের আলোয় হাতির হানা
রিহু বর্ধন দত্ত নামে জনৈক ঠিকাদার এই কাজ করেন। কিন্তু পাঁচ বছরেও সম্পূর্ণরুপে যাতায়তের উপযোগী হয়ে ওঠেনি এই সেতু। সম্প্রতি ওই এলাকায় যান ফালাকাটার বিজেপির বিধায়ক দীপক বর্মন।গিয়ে সেতুর অসমাপ্ত কাজ পরিদর্শন করেন বলে জানায় গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, সেতু বেশ রঙচঙে হলেও যাতায়ত করাই যায় না। সেতুর দুই মাথায় মাটি না দেওয়ায় দুই দিকের রাস্তার সঙ্গে এর কোন সংযোগ তৈরি হয়নি। যে স্থানে সেতু তৈরি করা হয়েছে সেখানে রয়েছে একটি নালা। বর্ষার সময় নদীর আকার নেয়। সেতুর কাজ অসমাপ্ত থাকায় শীতের মরসুমে সেতুর নিচ দিয়েই যাতায়াত করেন গ্রামের দুই প্রান্তের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মীদের
বাসিন্দা ব্রজেন দাস বলেন, বর্ষায় কোলে করে রোগীকে পার করতে হয়, ছাত্রছাত্রীরা স্কুল যেতে পারেনা। সেতুর মূল কাজ শেষ, দুই দিকে মাটি দিলেই হয়। দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রহিফুল আলম বলেন, সেতু তৈরির বাজেট ছিল তিরিশ লাখ সত্তর হাজা টাকা। সেতু তৈরির টেন্ডারে অ্যাপ্রচ রোডের কাজ ধরা ছিল না। আমরা এনআরজিএস প্রকল্পের দ্বারা মাটি দেওয়ার জন্য টেন্ডার পাশ করে ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই মুহূর্তে একশো দিনের টাকা বন্ধ হয়ে যায়। টাকা ঢুকলেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
Annanya Dey





