২০২৩ এর ডিসেম্বর মাসে হঠাৎই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে কোহিনুর চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনে। বেতন দেওয়ার দিন আচমকাই বাগান ছেড়ে চলে যায় কোহিনুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ। কোনও নোটিশ ছাড়াই বন্ধ হয়ে যায় চা বাগানটি। ফলে আকুল পাথারে পড়েন এখানকার ৮৮৮ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের দু'সপ্তাহের সময়সীমা আগেই পেরিয়েছে, ১০০ দিন পরও চাকরি হল না ১৫০৬ জন টেট উত্তীর্ণর
advertisement
সেদিন রুটিন মাফিক সকালে চা বাগানে কাজ করতে এসে শ্রমিকরা দেখতে পান ফ্যাক্টরির গেটে এবং চা বাগানের অফিসে তালা ঝুলছে। বাগান কর্তৃপক্ষ কোনও নোটিশ না দিয়েই বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন। শ্রমিকদের বেতন প্রদানের দিন ছিল।শ্রমিকদের অভিযোগ, কোহিনুর চা বাগান কতৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিকদের প্রাপ্য নিয়ে টালবাহানা করছিল। প্রভিডেণ্ট ফাণ্ডে টাকা জমা পড়েনি। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের গ্যাচুইটির টাকা দেওয়া হয়নি। কোনও সুযোগ সুবিধা পেতেন না শ্রমিকরা।সেই সময় এই বাগানের শ্রমিকরা দাবি করেছিলেন, নতুন মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হোক ব্যবসার দায়িত্বভার। তবে পুরনো মালিকের সঙ্গে এর মধ্যে দু'বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান সূত্র অধরা থেকে যায়। কিন্তু অনেকগুলো দিন চলে যাওয়ায় আর কোনমতেই সংসার চালাতে পারছেন না বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই সপরিবারে অনশনে বসেছেন চা শ্রমিকরা। যতক্ষণ না চা বাগান খোলা হচ্ছে ততক্ষণ এই অনশন চলবে বলে সাফ জানিয়েছেন তাঁরা।
অনন্যা দে