দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি বেড়েছে শোনার পরেও এদিন খুশির হাওয়া দেখা যায়নি। আলিপুরদুয়ারের কোনো বাগানে । বরং থমথমে মুখ নিয়ে চা পাতা তুলতে দেখা যায় চা শ্রমিকদের। পান্তি লোহারা নামের অপর এক চা শ্রমিক জানান,\"শুধু খাওয়া দাওয়াটাই তো আর সংসার নয়। সন্তানদের পড়াশুনো আছে।সেই টাকা তো আর মিলবে না।\" চা বাগানের শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি প্রদানের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছেন শ্রমিকরা। শিলিগুড়ির শ্রমিকভবনে নুন্যতম মজুরি প্রদানের আঠারোতম বৈঠক নিষ্ফলা হতেই ক্ষুব্ধ হয় চা শ্রমিকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জয়গাঁর দলসিংপাড়া চা বাগানের ঝোড়ার জলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ সড়ক
এই কারণে কাজে যোগ দেওয়ার আগে একঘন্টা গেট মিটিং-এ সামিল হয়েছেন তারা। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রতিটি চা বাগানের ছবি এমন। শেষ ২০১৮সালের অক্টোবর মাসে চা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি হয়। ১৭৬ টাকা থেকে তা ২০২ টাকা হয়। তারপর আর বাড়েনি বেতন। এবারে ২৩২ টাকা মজুরি বৃদ্ধি হল। কিন্তু তবুও মুখে হাসি নেই শ্রমিকদের। শ্রমিকদের কথায় যেখানে কেরোসিন তেলের দাম বেড়েছে। শাকসবজির দাম বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে কামাখ্যাগুড়িতে পথ অবরোধ পড়ুয়াদের
সেখানে ২৩২ টাকা মজুরি দিয়ে সব কেনাকাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। চা শ্রমিকদের মতে নুন্যতম মজুরি বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা বা তার ওপরে করা হোক। তাহলেই তাদের আট ঘন্টা কাজ করা সার্থক হবে। এক কথায় এই মজুরি বৃদ্ধি তারা মেনে নিচ্ছেন না। তাদের কথায় এইটুকু বেতন বৃদ্ধি কেবল তাদের সান্তনা দেওয়া।
Ananya Dey