আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও অশান্তির আশঙ্কা? কমিশনের কড়া নজরে ভাঙড়-ক্যানিং, বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
ফালাকাটার এই এলাকা দিয়ে চলাচলের জন্য নেই নির্দিষ্ট কোনও রাস্তা। রেল লাইনের নিচ দিয়ে এক হাঁটু জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এক্ষেত্রে কাদা জল এড়িয়ে যাতায়াতের একটাই উপায়, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটা! আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা পুরসভার স্বীকৃতি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করেছিলেন রাস্তার এই সমস্যা এবার মিটবে। কিন্তু দেড় বছরেও তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়নি। আর তাই এবারের বর্ষাতেও নরক যন্ত্রণাই সঙ্গী এলাকার মানুষের পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়াদেরও।
advertisement
অঙ্কিতা গোপ নামে এক পড়ুয়া এই প্রসঙ্গে বলল, সারা বছর এক হাঁটু জল পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। আর ভারী বর্ষায় সেটাও বন্ধ হয়ে যায়।রাস্তা না থাকার জন্য আমাদের এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স, দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। এই পরিস্থিতি আর মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনা হলো এই এলাকা থেকে স্থানীয় হাসপাতাল মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে অসুস্থ রোগীকে কাঁধে করে গোটা পথ হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এলাকার রাস্তা নিয়ে এই সমস্যা প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মিনু বর্মণ গোপ বলেন, এই এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে আছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, কৃষক বাজার, সরকারি ও বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড, চারটি সরকারি হাইস্কুল, ব্লক অফিস, পুরসভার অফিস। কিন্তু রাস্তা না থাকায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হয় মানুষজন। পুর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
অনন্যা দে