এটা কোনও একটা গ্রামের ছবি নয়। আলিপুরদুয়ার জেলার জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী প্রায় প্রতিটি গ্রামে এই বছর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতি। রবিশস্য চাষ করে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। কারণ হাতি এসে ফসল খেয়ে নষ্ট করে চলে গিয়েছে। প্রতিদিন রাত থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত এই সমস্ত গ্রামের জমিতে হাতির তাণ্ডব শুরু হয়। এমনকি গেরস্থের বাড়ি থেকে খাবারদাবারের গন্ধ পেলে সেখানেও হানা দিচ্ছে হাতি। বাড়ির চাল, দেওয়াল ভেঙে খাবার লুটে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সময় ভুল করে সামনে কেউ পড়ে গেলে তাকে একেবারে থেঁতলে খুন করছে তারা। এই বছর হাতের হানায় আলিপুরদুয়ার জেলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ কাজে আসতে হবে না বলেছে মৎস্য দফতর, প্রতিবাদে অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ
এই পরিস্থিতিতে ফসল এবং প্রাণ হারিয়ে বেজায় বিপাকে পড়েছে জেলার গ্রামীণ মানুষজন। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, হাতির হানার বিষয়ে বন দফতরকে বলা হলেও লাভ কিছু হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ারের গ্রামীণ অর্থনীতি ভেঙে পড়ার অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাত ও ভোরবেলায় গভীর কুয়াশা থাকায় গ্রামের মানুষ হাতি তাড়াতে উদ্যোগী হতে পারছে না। কারণ এই কুয়াশার কারণেই সামনে হাতিকে দেখতে না পেয়ে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে কেউই ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
যদিও সাউথ রায়ডাক রেঞ্জের রেঞ্জার দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
অনন্যা দে