তাঁদের জমির পাট্টা দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে চা শ্রমিকরা জানান, তাঁরা বহু বছর ধরে বংশপরম্পরায় চা বাগানে বসবাস করছেন। জরাজীর্ণ পুরনো ঘরে থাকতে হয়। এমনিতেই আইন অনুযায়ী দীর্ঘদিন একই জায়গায় বসবাস করার কারণে তাঁদের জমির পাট্টা পাওয়ার কথা। অবশেষে রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: শিবরাত্রি উপলক্ষে সেজে উঠেছে বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দির
advertisement
এই বিষয়ে চা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অসম, ত্রিপুরা, কেরল সহ অন্য কোনও রাজ্যে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা প্রদান করা হয়নি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম চা শ্রমিকদের বাসস্থানের কথা ভেবে তাঁদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সামাজিকভাবে এই বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই আগামী নির্বাচনগুলিতে এই সিদ্ধান্তের মাইলেজ পাওয়া যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
আবার অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ভাল বিষয়। কিন্তু তাঁরা যে জমিতে বংশপরম্পরায় বসবাস করছেন সেই জমির পাট্টা মিলবে কি? এই প্রশ্নটার কারণ চা শ্রমিকরা সাধারণত চা-বাগানের জমিতেই বসবাস করেন, যা বেসরকারি মালিকানাধীন। তাছাড়া চা বাগানের জমি কৃষি জমি হিসেবে নথিবদ্ধ। সব মিলিয়ে সেই জমি পাট্টা হিসেবে চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়ায় যথেষ্ট জটিলতা আছে। এক্ষেত্রে রাজ্য বাজেটে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও তা কীভাবে সম্ভব হবে এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।
অনন্যা দে