হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ, এই চুরির ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীদের একাংশ জড়িত আছে। এই অবস্থায় চোর ধরতে আসরে নেমেছে রোগী কল্যাণ সমিতি। তাঁদের সদস্যরা চোর ধরার জন্য হাসপাতালের সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খোদ পুলিশের বাড়ি থেকে খোয়া গেল সবকিছু!
চোরের উৎপাতে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে হাসপাতালের অন্ধকার করিডোরে বসে থাকতে হচ্ছে রোগী ও তাঁর পরিজনদের। অন্য কোনও বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। কয়েকজন রোগীর দাবি, নিজের চোখে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীকে করিডরের আলো খুলে নিতে দেখেছেন।
advertisement
এই সমস্যার সমাধান করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উত্তরীয় পরার পরই এই জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বসার সুযোগ পেয়েছেন সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি রীতিমত পুলিশ এনে হাসপাতালের যেসব এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে সেগুলি পরিদর্শন করেন। সুমন কাঞ্জিলালের দাবি, পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ইচ্ছে করে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি জানান, অপরাধীদের ছেড়ে কথা বলা হবে না। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল জানান, রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং শীঘ্রই ডাকা হবে। আমাদের তরফ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।হাসপাতালের কোনও কর্মী জড়িত থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।
অনন্যা দে