তার পর থেকে এই কাজ করে তিনি স্বনির্ভর হয়েছেন।সংসারে অভাব অনটন ঘুঁচিয়েছেন অনেকটা। জানা গিয়েছে, মিঠুন এক সময় কেবল অপারেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভাব অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। স্ত্রী, সন্তান বাবা ও মাকে নিয়ে আর্থিক সমস্যায় দিন কাটাত মিঠুনের। পশুপালনের ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের।ইউটিউব দেখতেন পশুপালনের বিভিন্ন কৌশলের বিষয়ে।
আরও পড়ুন East Bardhaman News: খুদে শিল্পী তামান্নার আঁকা ছবি পৌঁছল না মুখ্যমন্ত্রী কাছে, মন খারাপ তামান্নার
advertisement
হঠাৎ একদিন কেবল অপারেটিংয়ের জিনিস পত্র নিয়ে বানিয়ে ফেলেন বড় মাপের একটি হিটার। তার সাহায্যে দেশি হাঁস মুরগির ডিম ফুটিয়ে সহজেই ছানা তৈরি করছেন তিনি। অবশ্য এই হিটার তৈরির জন্য তিনমাস বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।বাংলাদেশে এই হিটার মেশিন ব্যবহার করে পশুপালন যথেষ্ট নাম করেছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে মিঠুনের বাড়িতে এই হিটার মেশিনের অস্তিত্বের কথা জেনে বহু মানুষই হাঁস ও মুরগির ছানা বাড়িতে নিয়ে লালন পালন করছেন। মিঠুন জানান,কাঠ ও সামান্য কিছু জিনিস পত্রের সাহায্যে ডিম ফোটানোর মেশিনটি তৈরি করেছেন তিনি। মুরগির ডিম থেকে একুশ দিনের মাথায় ডিম ফুটে ছানা বের হয়।হাঁসের ডিমের ক্ষেত্রে আঠাশ দিনের মাথায় ছানা পাওয়া যায়।হিটারের পাশাপাশি হ্যাচার মেশিন তিনি তৈরি করেছেন।মুরগির ডিম আটারো দিন হিটারে থাকলে,তিনদিন হ্যাচারে থাকে।আর হাঁসের ডিম পঁচিশ দিন হিটারে থাকলে তিন দিন হ্যাচারে রাখা হয়।
ঠিকানা: পশ্চিম ডালিমপুর,জটেশ্বর 2 গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে,ফালাকাটা,আলিপুরদুয়ার
ফোন নম্বর: +91 6295 257 930
গুগল লোকেশন-
মিঠুন বর্মণ আরও জানান,এই কাজে তার স্ত্রী তাকে দারুন ভাবে সাহায্য করছেন। প্রশাসন স্তরে সহযোগিতা পেলে এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন তিনি বলে দাবি মিঠুনের। এইপ্রসঙ্গে জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমরেশ পাল বলেন,মিঠুনের মধ্যে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে।মিঠুনের এই প্রতিভার আলো যাতে আরও ছড়িয়ে পড়ে তারজন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।
অনন্যা দে