যেহেতু লকডাউনে শুরু হয়েছিল এই দোকানের পথ চলা, তাই নাম দেওয়া হয়েছে লকডাউন স্টোর। হ্যামিল্টনগঞ্জের মতো ছোট এলাকায় বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই দোকান। প্রথমে চা দিয়ে দোকানের পথ চলা শুরু হলেও বর্তমানে এই দোকানে জুড়েছে খাবারের জিনিসও। কেক, বিস্কুট, চিপস, নুডলস সব মিলছে দোকানে। কর্মব্যস্ততার কারণে চায়ের বিক্রি ধীরে ধীরে কমেছে। তাই অন্যান্য জিনিস দোকানে তুলে তা বিক্রির চিন্তাভাবনা নেয় সরকার দম্পতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উইকেন্ডে শরীরে মিশুক শরীর! উন্মত্ত আদরে এভাবেই সম্পর্ক হবে আরও রঙিন-মজবুত, রইল সুপারহিট টিপস
হ্যামিল্টনগঞ্জের এই দোকানটির সামনে যুবকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। দোকানের নামটি দেখেই এই দোকান সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী হয় যুব সমাজ। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে কেউ হারিয়েছেন চাকরি, কেউ হারিয়েছেন পুরোনো ব্যবসা। লকডাউন পরিস্থিতি সকলের কাছ থেকে কিছু না কিছু কেড়েছে। কিন্তু সরকার দম্পতি এই দোকানের মধ্য দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পেয়েছেন।
দোকানটি প্রধানত চালান গৃহকর্ত্রী রুম্পা সরকার। তাঁর স্বামীর ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবসার পাশাপাশি ছিল বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি। লকডাউনে দুটোই হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এরপরেই ছোট করে শুরু করেছিলেন লকডাউন স্টোর। রুম্পা সরকার জানান, লকডাউন স্টোর বন্ধ কখনও করবেন না তিনি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তাদের অন্য ব্যবসার পথ চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই দোকান খারাপ সময়ে পাশে ছিল।তাই এই দোকানকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। লকডাউনে এই দোকানটি তাঁদের আয়ের উৎস খুঁজে পেতে সাহায্য করেছিল। ঘরের সব কাজ সামলে এই দোকানটি তিনি চালাবেন।
Annanya Dey