আতঙ্কে গৃহবন্দী অধিকাংশ গ্রামবাসী। তারা চাইছেন দ্রুত ধরে নিয়ে যাক বনকর্মীরা। ফের এলাকায় এসেছেন বনদফতরের স্পেশাল টিম। জাল বসানো হয়েছে,পাতা হচ্ছে খাঁচা। হামলাকারী বাঘটি এলাকায় এখনও রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে বনদফতর। উল্লেখ্য, গত রবিবার শিলবাড়িহাট ঘাটপাড় এলাকায় লোকালয়ে প্রবেশ করে লেপার্ড। গ্ৰামে বাসিন্দাদের উপর আক্রমণ চালায় । লেপার্ডের আক্রমণে জখম হয় মোট দশ জন। বনদফতর থেকে শত চেষ্টার পরেও লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী করা সম্ভব হচ্ছিল না। রবিবারেই ঘাটপাড় এলাকায় বনদফতরের জলদাপাড়া বনবিভাগের পক্ষ থেকে খাঁচা বসানো হয় এবং জাল বিছানো হয় । লেপার্ডকে খাঁচাবন্দী করার জন্য চেষ্টা চালানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিশ্চিন্তে গাছে বসে লেপার্ড! আক্রমণে জখম দশ জন! অবশেষে যা হল
কিন্তু লেপার্ডের দেখা মেলেনি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘাটপাড় এলাকায় একটি সুপারি গাছের উপরে লেপার্ডটিকে দেখতে পায় গ্ৰামবাসীরা । পরবর্তীতে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে লেপার্ডটিকে কাবু করে খাঁচাবন্দী করতে সক্ষম হয় । প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর লেপার্ডটিকে খাঁচাবন্দী করতে পেরে স্বঃস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গ্ৰামবাসী থেকে শুরু করে বনকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ চিতা বাঘের হানা আলিপুরদুয়ারের শিলবাড়িহাটে, আক্রমণে জখম ১০
লেপার্ড এলাকায় রয়েছে শোনার পর রবিবার রাত থেকে ঘটনাস্থলে নজরদারি চালাচ্ছেন জলদাপাড়া বন দফতর ও সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ।রবিবার দুপুরবেলা থেকে ওই এলাকায় ঝোপের চারপাশে বাঘ ধরার জন্য জাল লাগানো হয়। জালের ভেতরে বসানো হয় খাঁচা। সেখানে টোপ হিসেবে ছাগলও রাখা হয়েছিল। কিন্তু লেপার্ডটি খাঁচাবন্দি হয়নি। বনদফতরের পক্ষ থেকে বুধবার ফের এলাকাবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
Ananya Dey