রাজ্য পর্যটন দফতরের মাদারিহাট জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এই অভিনব আয়োজন করেছে লজের কর্মীরা। রবি ও সোম এই দুদিনের প্রাতঃরাশে পর্যটকদের জন্য থাকছে পাটিসাপটা, দুধপুলি , ভাপা পিঠে এমনকি পায়েসও ৷ প্লেট সাজিয়ে পর্যটকদের সামনে হাজির করছেন কর্মীরা।এক প্লেটে থাকছে দুটো পাটি সাপটা,একটি দুধপুলি ও একটা ভাপা পিঠে , সঙ্গে একবাটি সুস্বাদু পায়েস।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরি করে মিড-ডে মিলের সবজি ফলাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা
শীতের এই সময়ে প্রচুর বাঙালি অবাঙালি পর্যটক জঙ্গলে বেড়াতে আসেন জলদাপাড়ায়। বাইরের জঙ্গলে ভ্রমনের সময় বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকরা পিঠে খাওয়ার স্বাদ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হন। তাদের এই মনের কথা বুঝতে পেরে পর্যটন দফতরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজ পর্যটকদের জন্য হরেক রকমের পিঠের আয়োজন করেছে।
হাতির পিঠে ও জিপসিতে ঘুরে একশৃঙ্খ গণ্ডার ও অন্যান্য বন্যজন্তু দেখতে জঙ্গল সাফারির জন্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটন দফতরের জলদাপাড়া টুরিস্ট লজে ৩৪ টি রুমেই ঠাসা বুকিং। কোনও ঘর ফাঁকা নেই। হলং বন বাংলোতেও একই পরিস্থিতি । বেসরকারি লজ, রিসর্ট ও হোমস্টেগুলিতেও থিকথিকে ভিড় পর্যটকদের।
আরও পড়ুন: বারাণসীর পুরোহিত এনে তোর্সা পাড়ে 'গঙ্গা আরতি'!
জলদাপাড়া টুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন , পৌষ পার্বণে বহু পর্যটক জঙ্গলে ঘুরতে আসার কারণে বাড়িতে বসে পিঠে খাওয়ার সুযোগ পান না । বিশেষ করে বাঙালি পর্যটকরা এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকেন। পৌষ পার্বণে জলদাপাড়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা তাঁদের সেই আফসোসের কথা জানিয়েছিলেন। সেজন্য রবি ও সোমবার সকালের প্রাত:রাশে পর্যটকদের হরেক পদের পিঠে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পিঠের সঙ্গে পায়েসের স্বাদও নিতে পারবেন পর্যটকেরা। সব মিলিয়ে বাড়ির বাইরে জঙ্গলে বেড়াতে এলেও বাঙালি পর্যটকরা জলদাপাড়ায় ওই সরকারি টুরিস্ট লজের পিঠে খাওয়ার স্বাদ পাবেন । শুধু বাঙালি পর্যটকরাই নন , ভিন রাজ্যের অবাঙালী বা বিদেশী পর্যটকদের জন্যও একই ধরনের পিঠের ব্যবস্থা রেখেছে জলদাপাড়া টুরিস্ট লজ কর্তৃপক্ষ ।
Annanya Dey