পরবর্তীতে গাঙ্গুটিয়া চা বাগানে অভিযান চালানো হয়, সেখানে প্রচুর অবৈধ কাঠ উদ্ধার হয় এবং দুই জায়গায় বেশ কয়েকটি অবৈধ কাঠ চেরাই কারখানার হদিস মিলেছে। যদিও অভিযান সারাদিন চলবে বলে বনদফতর সূত্রে জানা যায়। কাঠ পাচারের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মেচপাড়া চা বাগান।সম্প্রতি কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগান থেকে চোরাই কাঠ উদ্ধার করে বনকর্মীরা। মেচপাড়া চা বাগানে সাইকেলে করে পাচারকারীরা কাঠ পাচার করছিল। বিষয়টি জানতেই সেখানে অভিযান চালায় বনকর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু কামাখ্যাগুড়িতে
উদ্ধার করা হয় চোরাই কাঠ। এদিকে বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেতেই সাইকেল ফেলেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। উদ্ধার হওয়া কাঠগুলি রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে গত এপ্রিল মাসে অসম-বাংলা সীমান্তে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ চোরাই কাঠ। অসম সীমান্তে পাচার রুখতে রীতিমত কড়া নজরদারি চলে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম থানার বারোবিশা পুলিশের। নাকা চেকিংয়ের সময় উদ্ধার হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার চোরাই পাইন কাঠ।
আরও পড়ুনঃ ছটঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাবে কালচিনি ব্লক প্রশাসন
রুটিন নাকা চেকিং চলার সময়, অসমের দিক থেকে আসা একটি ৬ চাকার ট্রাক তল্লাশির জন্য পাকড়িগুড়িতে দাঁড় করায় বারবিশা ফাঁড়ির পুলিশ। কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় ট্রাকটিতে তল্লাশি চালানো হলে ওই ট্রাক থেকে ২০০ কিউবিক ফুট দুর্মূল্য পাইন কাঠের দরজা, জানালার সুদৃশ্য ডিজাইন করা ল্যামিনেটেড কাঠামো উদ্ধার হয়।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগরতলা থেকে ভিলাইয়ে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই কাঠ। অন্যান্য কাঠ বাজারে টাকার বিনিময়ে পাওয়া গেলেও, এই পাইন কাঠ পাওয়া খুব সহজ নয়। বিশেষ করে এই কাঠ পাহাড়েই পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।
Annanya Dey