এই সময় উত্তরবঙ্গ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। ফলে কালচিনির পানা বনবস্তির জল সঙ্কট আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গ্রামে বসবাস করে প্রায় ৮ হাজার মানুষ। জলের অভাবে অন্য গ্রামে গিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটতে বিধৃত হয় শিশু-কিশোররা। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হল, এই গ্রামের বাসিন্দারা ৪ কিমি দুরে যেখান জল আনতে যান সেখানেও পরিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ঝোরার জল নিয়ে এসে পান ও রান্না করেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: অবৈধ মদ উদ্ধারে গিয়ে আহত আবগারি কর্মী
গ্রামের বাসিন্দা মায়া লামা জানান, এই সমস্যা এক মাস বা এক বছরের নয়। এই গ্রাম ৪৬ বছর ধরে জলহীন অবস্থায় আছে। গরম বাড়লে জলের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে।
বাসিন্দারা আরও জানান দীর্ঘ ৪৬ বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকার প্রধান সমস্যা পানীয় জলের সঙ্কট। এই পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বহু জায়গায় আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। বর্তমানে দীর্ঘ ৪ কিমি দূরে রাধারানি চা বাগান থেকে অথবা জঙ্গলের ভিতরের ঝোরা থেকে পানীয় জল সংগ্ৰহ করতে হয়। জল আনতে গিয়ে স্নান সেরে আসতে হয়। বৃষ্টি হলে সেই বৃষ্টির জল জমা করে রাখেন তাঁরা।
এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য রাধারানি চা বাগান ও পানা বস্তির মাঝে পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের জল এলাকায় আসে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কবিরাজ প্রগারী প্রতিশ্রুতি দেন, ‘আমার পক্ষ থেকে যথা সম্ভব চেষ্টা করব। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা এবারে দুর হবেই।
অনন্যা দে