রবিবার একাধিকবার তাদের জ্বলে যাওয়া ঘরে কিছু অবশিষ্ট আছে কী না, খুঁজতে দেখা যায়। স্থানীয়দের কথায়, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন তারা আগে কখনও হননি। ঘিঞ্জি এলাকা ও অধিকাংশই কাঠের বাড়ি হওয়ায় কম সময়ের মধ্যে পর পর সকল বাড়িতে আগুন লাগতে থাকে। তা দেখে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটটে দেখা যায় এলাকাবাসীদের। কেউ আবার পরিবার নিয়ে এলকার মন্দিরে আশ্রয় নেন।এলকায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল আর্তনাদ,কান্নার আওয়াজ। পরে ঘটনাস্থলে হাসিমারা দমকল বিভাগ, এয়ারফোর্সের দমকল, জয়গাঁ দমকল বিভাগের ৬ টি গাড়ি পৌঁছে ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এনবিএসটিসি-র একাধিক বাস পেতে চলেছে জয়গাঁ
এলাকাবাসীদের সহায়তায় প্রায় ৩ ঘন্টার প্রয়াসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।এছাড়া মোদি লাইন এলাকার পাশেই রয়েছে রেল লাইন, সেখানে ভিড় জমিয়েছিল উৎসুক জনতারা। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের তরফে রেলকে বলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত রেল পরিষেবাও বন্ধ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে দমকল সূত্রে খবর, 'মূলত শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। এরপর ঘরে থাকা সিলিন্ডারগুলো ফেটে যাওয়ায় আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।'
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি বলেন, 'এলাকার অধিকাংশই হাট ব্যবসায়ী। হাটে থাকাকালীন খবর পাই বাড়িতে আগুন লেগেছে। ছুটে এসে দেখি সব শেষ কিছু নেই। বোনের বিয়ের গয়না, বাড়ি বানানোর টাকা কিছু নেই।' এক এলকাবাসী জানান, 'ঘরের কিছু বাঁচাতে পারলাম না। কোনো মতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছি। ঘরের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।' এদিন সকালে একে একে এলাকায় এসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ বোনাসের দাবিতে তুমুল উত্তেজনা কোহিনুর চা বাগানে
অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ বান করে টিন ও বাসনপত্রের সেট প্রদান করা হয়। কালচিনি বিডিও জানান, 'প্রশাসন এদের পাশে আছে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে ও যারা আশ্রয়হীন তাদের আপাতত কালচিনি ধর্মশালায় রাখা হয়েছে এবং তাদের খাওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
Annanya Dey