হাট সংস্কারের দাবিতে বারবার সরব হয়েও মেলেনি সুরাহা। হাটের হাল ফিরছে না বলে অভিযোগ। একটি শেডও তৈরি হয়নি। এই হাটে আজও কোনও নর্দমা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হ্যামিল্টনগঞ্জের হাট আলিপুরদুয়ার জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার জায়গা। এক সময় ইউরোপিয়ান সাহেবদের ঘাঁটি ছিল। এই সাহেবরাই স্বাধীনতার আগে এলাকার চা বাগানগুলি পরিচালনা করতেন। তাঁরাই শ্রমিকদের স্বার্থে হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জে হাট বসে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'হাততালি দিয়ে টাকা তোলেন!' অপবাদ সরিয়ে রেখেই দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে বৃহন্নলারা
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এই হাটে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, নুন্যতম সুবিধা মেলে না এই হাটে। পসরা নিয়ে আসার পাশাপাশি প্লাস্টিক নিয়ে আসতে হয়। নইলে মাথার ওপর কিছু দিয়ে বসা যায় না। তখন রোদ-বৃষ্টিতে মাথায় নিয়েই বসে থাকতে হয়। হাটের টিনের পুরনো শেডগুলো সব ভেঙে গিয়েছে। তা সারাই করার উদ্যোগ কেউ গ্রহণ করেনি। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে এই হাটটি মার্কেট কমপ্লেক্স হবে বলে শোনা গিয়েছিল। এই কারণে সেই সময় পাঁচটি গাছও কেটে ফেলা হয়েছিল। এদিকে ওই গাছগুলি থাকলে গ্রীষ্মকালে হাটে আসা ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও ছায়া পেতেন। কিন্তু গাছ কাটার পরও মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ একটুও এগোয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলার মর্যাদা পাওয়ার পরে পৃথক জেলা পরিষদ গঠন হয়েছে। তাই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ আটকে ছিল। তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই হাটে মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে উঠবে।
অনন্যা দে