শ্রমিক মহল্লার দুই মহিলার অভিযোগ, ২০১৮ সালে কালচিনি ব্লকের মালঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ৩ জনের আশা কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। সেসময় দুজন উপস্থিত থাকে ও আরেকজন উপস্থিত ছিলেন না। তবে সম্প্রতি পরীক্ষার ফলাফল এলে তা দেখে চক্ষু চরকগাছ পরীক্ষার্থী আরতি লোহারা ও প্রতিমা কুজুরের। তাদের অভিযোগ, ওই রাজনৈতিক দলের নেতা নিজের ক্ষমতার প্রভাবে তার পরিবারের সদস্য বিন্দিয়া ভগত যিনি পরীক্ষা দেননি তাকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুদ্ধ হিন্দি বানান লিখতে প্রতিযোগিতার আয়োজন আলিপুরদুয়ারে
আরতি লোহারা ও প্রতিমা কুজুর পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি। এরপরই কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জমা দেন তারা। আরতি লোহারা জানান, হিসেবে যে দুজন পরীক্ষা দিয়েছে তাদের মধ্যে থেকে একজনের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। আশা কর্মী নিয়োগেও যদি এভাবে দুর্নীতি হতে থাকে তাহলে আর আস্থা থাকে না প্রশাসনের ওপর। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলায় আশাকর্মী নিয়োগের বিঞ্জপ্তি জারি হয়েছে। মোট বিরাশিটি শূণ্যপদ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারের বাগান ও আলুক্ষেতে দিনের আলোয় হাতির হানা
কালচিনি ব্লকে রয়েছে সবচাইতে বেশি শূণ্যপদ। চব্বিশটি শূণ্যপদ রয়েছে এই ব্লকে। অনলাইন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ত্রিশ ডিসেম্বর। নতুন করে আবার চাকরির পরীক্ষা দিতে চাইছে না আরতি লোহারা ও প্রতিমা কুজুর। এবারেও একই ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে বিএমওএইচ সুভাষ কর্মকার জানিয়েছেন, "স্বাস্থ্য দফতর থেকে নিয়োগ হয়েছে।কে পরীক্ষা দিয়েছে আর কে দেয়নি সেই বিষয়টি জানা নেই।তবে দুজন মহিলা অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে।তা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন।কোনও দুর্নীতি হলে তা দেখা হবে।"
Annanya Dey





