আরও পড়ুন: আত্মরক্ষায় তাইকোন্ডো! জেলাজুড়ে বাড়ছে জনপ্রিয়তা, চলছে প্রশিক্ষণ
এর আগে আমরাই আপনাদের সামনে মুজনাই চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। মুজনাই চা বাগান থেকে মাদারিহাটের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। কিন্তু এই চা বাগান থেকে মাদারিহাট পর্যন্ত কোনও ছোট অথবা বড় গাড়ি চলাচল করে না। ফলে এখানকার ছাত্রছাত্রীদের রোজ ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে মাদারিহাটে স্কুলে আসতে হয়। এতে খুবই কষ্ট হয় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অভিভাবকরা চা বাগান থেকে মাদারিহাট পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালুর দাবি করেন প্রশাসনের কাছে।
advertisement
কিন্তু প্রাথমিকভাবে প্রশাসন সেই দাবিতে কর্ণপাত না করায় অভিভাবকরা ঠিক করেছিলেন, তাঁরা মুজনাই চা বাগান থেকে আলিপুরদুয়ার ৬৫ কিমি পথ হেঁটে প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যাতে পৌঁছে এই নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেবেন। ১৩ মে থেকে এই সংক্রান্ত আন্দোলন শুরুর ডাক দেওয়া হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মাদারিহাট ব্লক অফিসে মুজনাই চা বাগানের ছাত্রছাত্রীদের দাবি নিয়ে এক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে মাদারিহাটের বিডিও শ্যারণ তামাং, বাগান ম্যানেজার ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে বাগান কতৃপক্ষ স্কুল বাসের ব্যবস্থা করবে। মুজনাই চা বাগান কর্তৃপক্ষই এই বাস পরিষেবা দেবে সেখানকার ছেলেমেয়েদের জন্য। এই বিষয়ে মুজনাই চা বাগানের ম্যানেজার অনিন্দ্য বাগচী জানান, বাগান থেকে একটি গাড়ি দেওয়া হবে যাতে করে ৩৫ থেকে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী আলিপুরদুয়ারে পড়াশোনা করতে যেতে পারবে।
অনন্যা দে