TRENDING:

Blue Tea: নীল চায়ে চুমুক দেবেন নাকি! 'ব্লু পিয়া টি'-তে মন মজেছে নতুন প্রজন্মের! জানুন

Last Updated:

Blue Tea: ভুলে যাবেন গ্রিন টি! একবার চেখে দেখুন নীল চা! আসলে কী এই চা? খাওয়া যায় তো? জানুন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#আলিপুরদুয়ার: চায়ের পেয়ালার প্রতি নতুন প্রজন্মের আকর্ষণ বাড়াতে বাজারে হাজির ব্লু টি। চায়ের কাপে নীল আভা এনে বাজিমাত করতে বদ্ধপরিকর আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান। চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বছরের বিভিন্ন সময়ে নয়া চমক দেয় এই চা বাগান। প্রথমে হোয়াইট টি,এরপর মুনলাইট টি-র পর ব্লু টি। এই চা বাজারজাত করে রাজ্যের চা উৎপাদনের ইতিহাসে এক নতুন দিক দেখাচ্ছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান। ব্লু টি তৈরির প্রক্রিয়া চিরাচরিত চা উৎপন্ন করার থেকে অনেকটাই আলাদা।এই চা উৎপাদন কঠোর সাধনার মতো।দক্ষতা ও পরিশ্রম দুই মিলে ব্লু টি-র স্বাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি করছে বলে দাবি বাগান কর্তৃপক্ষের।
advertisement

এই বিশেষ চা তৈরি করতে প্রয়োজন চায়ের অত্যন্ত নরম কুঁড়ি ও অপরাজিতা ফুলের।দুইয়ের মিশ্রনে তৈরি হয় এই মনকাড়া এ্যারোমা যুক্ত রঙিন চা।বলাবাহুল্য বিশ্বের চায়ের বাজারে এই চায়ের কদর আকাশ ছোঁয়া।আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থডক্স ও সিটিসি চা-এর সঙ্গে কোন উপাদান মেশালে নতুনধরনের চা পাওয়া যায় তা আবিষ্কারের প্রয়াস চালাচ্ছে। সম্প্রতি চুপিসারে 'ব্লু পিয়া টি' বাজারে এনে, রাজ্যের সব চা বাগানকে টেক্কা দিয়েছে মাঝেরডাবরি কর্তৃপক্ষ(রঙপুর টি অ‍্যাসোসিয়েশ লিমিটেড)। পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ কিলোগ্রাম ব্লু টি তৈরি করা হয়েছিল।যা মুহুর্তের মধ্যে সকলে লুফে নিয়েছে বলে দাবি চা বাগান কর্তৃপক্ষের।তবে ঠোঁটে ছ্যাঁকা খাওয়ার আগে এই নীল চা ক্রয় করে গেলে হাত পুড়তে পারে আমজনতার।

advertisement

খোলা বাজার অথবা অনলাইন শপিং সংস্থা গুলিতে নীল চা বিকোচ্ছে ৬৫০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে।যেহেতু ছয় ঋতুর একটি বিশেষ ঋতুতে অপরাজিতা ফুল ফোটে।কার্যত বছরভর ওই বিশেষ চা উৎপাদন করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।বাগানের এক কোনে চা গাছের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে অপরাজিতা ফুলের ঝোপ।সেখান থেকেই বিশেষ সাবধানতা বজায় রেখে, নরম হাতে সংগ্রহ করা হচ্ছে অপরাজিতা ফুল। তারপর বাগানের কারখানায় বিশেষ পর্যবেক্ষণে তৈরি হয় ব্লু টি।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি 'ব্লু পিয়া টি' রক্ত পরিষ্কার ও হার্টকে সতেজ রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তি দুর করে।শরীরে অ‍্যান্টি অক্সিডেন্ট জোগায়।

advertisement

দু'ভাবে পান করা যায় এই ব্লু টি।গরম খেলে চা ফোটানোর সময় মেশাতে হয় দারচিনি ও আদার কুঁচি।আর কোল্ড টি খেলে চা ফোটার পর ঠান্ডা করে মেশাতে হয় মধু ও বরফের টুকরো।তবে লেবু মেশালে দেখা মিলবে ম্যাজিকের।গরম কিংবা ঠান্ডা চায়ে লেবুর রস পড়া মাত্রই বিক্রিয়ায় 'পি-এইচ' লেভেলে পরিবর্তন আসে।যারফলে চায়ের রঙ এক নিমেষে পারপেল হয়ে যায়।সঙ্গে ছড়ায় দারুণ গন্ধ।

advertisement

আরও পড়ুন: বিশ্বাস করে ভালোবেসেছেন, ঠকেছেন বিশ্বাস করে! আত্মহত্যা কেন? বিদিশার মৃত্যুতে প্রশ্ন

মাঝেরডাবরি চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন "আমরা সমীক্ষায় লক্ষ্য করেছি নতুন প্রজন্ম চায়ের কাপে নতুন কিছু চায়।আর নতুন কিছু না পেলেই তারা কফি,কোল্ড ড্রিংকসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়।চায়ে পিয়ো মস্ত রাহো এই স্লোগানকে কার্যকর করতে নতুন প্রজন্মদের ভূমিকা বিশেষ।তাই তাদের কথা ভেবেই সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে আমরা বাজারে 'ব্লু পিয়া টি' এনেছি।যা অদ্ভুত ভাবে সবার মন কেড়ে নিয়েছে।যা দেখে আমরা আপ্লুত।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাটির রঙিন খেলনায় ছেয়ে গিয়েছে বাজার, চাহিদা তুঙ্গে! দাম কত জানেন?
আরও দেখুন

অনন্যা দে

বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Blue Tea: নীল চায়ে চুমুক দেবেন নাকি! 'ব্লু পিয়া টি'-তে মন মজেছে নতুন প্রজন্মের! জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল