আরও পড়ুন: সরকারি গাড়ির ধাক্কায় শেষ মেধাবী ছাত্র
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের কামসিং গ্ৰামের সামনে দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুরমাই নদী। বর্ষাকালে জল থৈ থৈ করে এই নদীতে। কম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ও জল থাকে। ফলে বিডিও অফিস সহ মূল জায়গাগুলিতে যেতে কামসিং গ্রামের মানুষকে এই নদী পেরোতে হয়। কিন্তু সেতু না থাকায় বড়সড় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কুরমাই নদীতে পাকা সেতুর দাবি বহুদিনের। বর্ষাকালে গোটা গ্রামের মানুষকে কার্যত বন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়। কারণ সেই সময় এই নদী পার হওয়া একপ্রকার অসম্ভব হয়ে ওঠে।
advertisement
বর্তমানে কুরমাই নদীর উপর একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনরকমে যাতায়াত করছেন কামসিং গ্ৰামের বাসিন্দারা। কিন্তু সেই বাঁশের সাঁকোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। স্থানীয়রা জানান, উত্তর কামসিং, দক্ষিণ কামসিং গ্ৰামের বাসিন্দাদের বিডিও অফিস, বাজার, স্কুল-কলেজ যেতে হলে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু বর্ষাকালে কুরমাই নদীতে প্রচুর জল হয়। তখন এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে বাজার, স্কুল, বিডিও অফিসে যেতে হয়। প্রতি বর্ষায় বাঁশের অস্থায়ী শাখা ভেঙে নদীর জলে তলিয়ে যাওয়াটা এখানকার পরিচিত ছবি হয়ে উঠেছে। অথচ স্থায়ী সেতু তৈরি হলে ৩ কিলোমিটারের বদলে মাত্র ৫০০ মিটার পথ পেরিয়েই সব জায়গায় যাওয়া যাবে। এই পরিস্থিতিতে স্থায়ী সেতুর দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন আলিপুরদুয়ারের এই প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ।
অনন্যা দে