আরও পড়ুন: পুজোর আগে মন্দিরবাজারের শোলাগ্রামে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা
হাতির দলের আগমনের ঘটনা একদিনের নয়, প্রায় প্রতিদিন আলিপুরদুয়ারের এই প্রান্তিক গ্রামে হানা দেয় হাতির পাল। এলাকাটি জঙ্গল সংলগ্ন হওয়ায় ইদানিং দুপুরবেলাতেও হাতি গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে। যা দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। হাতি এসে কৃষিজমিতে তাণ্ডব চালালে রোজগার কী করে হবে সেটাই এখন প্রধান চিন্তা এলাকাবাসীর। হাতির দল এসে বিঘার পর বিঘা চাষ জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। হাতির অত্যাচারে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা।
advertisement
গৌতম এক্কা নামে এই গ্রামের এক কৃষক বলেন,আমরা এই কৃষিকাজের উপরই নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতিদিন হাতি এসে কলা বাগানে, কোনও দিন ধানের জমিতে, সুপারি বাগানের ফসল নষ্ট করে চলেছে। হাতির দলের এই অত্যাচারে এলাকার অনেকেই বর্তমানে কৃষকাজ ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আমারও জীবিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জানি না আগামী দিনে কী করব।
এই পরিস্থিতিতে বন দফতরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামে হাতে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করলে খবর দেওয়া হলেও বন দফতর বেশিরভাগ সময় আসে না। এছাড়া সার্চ লাইট দেওয়া হয় না। এই অভিযোগ শুনে বন দফতরের আধিকারিক যান ওই এলাকায়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি কৃষকদের এমন ফসল চাষ করার পরামর্শ দেন যা হাতিদের দূরে রাখবে। যেমন হাতি কলা, শিমুল গাছ, মিষ্টি কুমড়ো খেতে পছন্দ করে। তাই এই ফসলগুলো চাষ করলে তারা বেশি বেশি করে গ্রামে হানা দেয়। কিন্তু কাঁটাযুক্ত লেবু, কুল চাষ হলে বা চাষের জমির আশেপাশে এই কাঁটাযুক্ত গাছ লাগিয়ে দিলে হাতি ধারেকাছে ঘেঁষে না। তাই বনকর্তা বিকল্প ফসল চাষের উপর জোর দিতে বলেছেন এই এলাকার মানুষকে।
অনন্যা দে