অভিযানে সহযোগীতা করে রেল পুলিশও। বামনহাট গামী লোকাল ট্রেনে ওই কাঠ পাচার চলছিল। বক্সাব্যাঘ্র প্রকল্পের এ ডি এফ ও নবীকান্ত ঝাঁ জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে বামন হাটগামী একটি ট্রেনে অভিযান চালিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের চোরাই কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বনদফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, কালচিনি স্টেশনে চোরাই কাট তোলা হয়েছিল। ওই চোরাই কাঠ কোচবিহার হয়ে বামনহাটে পাচার করা হত।
advertisement
আরও পড়ুন: রেশনের বদলে নগদ টাকা! রেশন-দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
গত কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার এভাবে চোরাই কাঠ পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে বনদফতর। চোরাইকাঠ উদ্ধার হলেও এদিন কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বক্সার জঙ্গলে কাঠপাচার চক্র যে সক্রিয় তা বার বার চোরাই কাঠ উদ্ধারের ঘটনায় স্পষ্ট। জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার আপ বামনহাট এক্সপ্রেসে অভিযান চালায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও রেল পুলিশ।
আরও পড়ুন: ট্রেনে করে কাঠ পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল বনদফতরের কর্মীরা
আগে থেকেই ফাঁদ পেতে ছিল বন দফতর ও পুলিশ। সাদা পোশাকে আগেই ট্রেপে চেপে বসেছিলেন যৌথ অভিযানকারি দলের আধিকারিকরা। ট্রেনে গোপনে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঠের পাটাতন নিয়ে যাচ্ছিলেন দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এর পরেও কেন এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়ে অবশ্য পুলিশ ও বন দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি। রেলে কাঠ পাচার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
রাজকুমার কর্মকার