রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা গড়ার বার্তা যখন দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। তখন জয়গাঁর ছোটো মেচিয়াবস্তিতে প্রায় দুশো-টি ঘরে নেই শৌচালয়। এভাবে তোর্ষার ধারে শৌচকর্ম করতে একের পর এক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। তাও কি প্রশাসন ছোট মেচিয়াবস্তির মানুষদের কথা ভাববেন না। প্রশ্ন এলাকাবাসীদের। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার যান জয়গাঁ এক তৃণমুল অঞ্চল সভাপতি তথা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ লামা। তিনি কথা বলেন এলাকাবাসীদের সঙ্গে। শান্তনা দেন হাফিজুল আলির স্ত্রীকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে সৌরশক্তি দিয়ে চলছে মাঝেরডাবরি চা বাগান
সুভাষ লামা জানান,\"হাফিজুল আলি-কে খুঁজতে প্রশাসনের কাছে সিভিল ডিফেন্স কর্মী নামানোর অনুরোধ জানিয়েছি। সুলভ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ বিডিও-র কাছে জানাচ্ছি। \"জয়গাঁ এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুলভ শৌচালয় নির্মাণের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। সকাল ছটায় ঘটনাটি ঘটে, বিকেল চারটা বেজে গেলেও কোনও সিভিল ডিফেন্সকর্মী এলাকায় না এলে আরও ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। অবশেষে সন্ধ্যা ছয়টায় সিভিল ডিফেন্সকর্মীরা তোর্ষা সংলগ্ন এলাকার ছোট মেচিয়াবস্তিতে আসেন। কোন স্থান থেকে তলিয়ে গিয়েছিলেন হাফিজুল আলি, সেই স্থানটি দেখেন। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ।
আরও পড়ুনঃ হাতির হানা ডুয়ার্স জুড়ে, ভাঙছে বাড়িঘর! ভয়ঙ্কর অবস্থা
কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান, \"তলিয়ে যাওয়া ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয়েছে।এলাকায় শৌচালয়ের সমস্যা নিয়ে তদন্ত করা হবে।\" অন্যদিকে জয়গাঁ এক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তড়িবাড়ি এলাকাতেও বণ্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। গোবরজ্যোতি নদীর জল এলাকায় প্রবেশ করেছে। এলাকাবাসীদের ঘরে জমেছে জল। রাস্তা চলাচলের উপযোগী নেই।
Ananya Dey