দুর্গাপুরের অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো কমিটি মার্কনি দক্ষিণ পল্লী।প্লাইউড ও বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপের কাঠামো। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ১১০ ফুট। তিন হাজার স্কয়ার ফুট এলাকা জুড়ে গড়ে উঠছে ওই চোখ ধাঁধানো ব্যাপক আকর্ষণীয় মণ্ডপটি।মণ্ডপ গড়ছেন মেদিনীপুরের কাাঁথি এলাকার শিল্পী সুতানু মাইতি। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের পুজো চলতি বছরে ৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করছে।দুর্গাপুরের শিল্পী অরুণ পাল প্রতিমা গড়েছেন। প্রতি বছরই প্রতিমার মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া থাকে।এবারে প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট হচ্ছে।
advertisement
গতবার কর্ণাটকের হাসন জেলার চেন্নাকেশব বিষ্ণু মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছিল মার্কনি দক্ষিণপল্লী পুজো কমিটি । এই বছরের মণ্ডপ আরও বেশি আকর্ষণীয় হচ্ছে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। কাঠের তৈরি থাই কারুকার্যময় মণ্ডপের অন্দরমহলে থাকছে বাটি, চামচ ও স্টিলের নানান নকশা।বিশাল কাঠের ভাস্কর্য এবং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক এই নিদর্শনের আদলে তৈরি এই মণ্ডপ দেখতে তৃতীয়া থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আশাবাদী পুজো কমিটি।
থিমের মণ্ডপ ও প্রতিমার টানে প্রতি বছর এই মণ্ডপে ভিড় জমান দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা। এবার অপরূপ আলোকসজ্জায় মণ্ডপ সহ এলাকার রাস্তার দুই পাশ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দেবাশিস তা ও অশোক ভট্টাচার্য জানান, থাইল্যান্ডের পাটায়াতে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মিউজিয়াম স্যাংচুয়ারি অফ ট্রুথ তৈরি হচ্ছে। অসাধারণ ওই যাদুঘরটির নকশা করেছেন থাই ব্যবসায়ী লেক ভিরিয়াফান। এর কাঠামোটি একটি মন্দির এবং একটি দুর্গের সংমিশ্রণে নির্মিত। ১৩ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত ওই মিউজিয়াম। নির্মাণ কাজ প্রথম ১৯৮১ সালে শুরু হয়েছিল এবং এখনও নির্মাণাধীন অবস্থাতেই রয়েছে মন্দিরটি। কেবল কাঠের খোদাই করা মূর্তি এবং ভাস্কর্য রয়েছে ওই মিউজিয়ামে। তারই অনুকরণে আমাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মেদিনীপুরের শিল্পী মণ্ডপ গড়ছেন।কাজ চলছে তিন মাস ধরে। মণ্ডপ তৈরিতে প্লাইউড, বাঁশ, কাঠ,বালি ও কাঠে গুঁড়ো সহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। পুজোয় প্রতিদিন সঙ্গীত ও নৃত্য সহ বিচিত্রানুষ্ঠান রয়েছে। স্থানীয় শিল্পীরাই সমস্ত অনুষ্ঠান করেন। ইতিপূর্বে আট বার বিশ্ববাংলা সেরার শিরোপা পেয়েছে এই কমিটি।