ভাস্কর চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি: লকডাউনে মোটেই পর্যটকশূণ্য নয় পর্যটনকেন্দ্র মূর্তি। আনাগোনা চলছেই বহু সংখ্যক মানুষের। কেউ বা নিয়ে আসছেন প্লাস্টিক প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী বা মদের বোতল; আবার অনেকে সেখানেই বসে থার্মোকলের থালায় দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিচ্ছেন। সবই ঠিক আছে। তবে খাওয়া দাওয়া শেষ করে কেউ বোতল ছুঁড়ে ফেলছে নদীতে, প্লাষ্টিকের প্যাকেট পরে থাকছে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। ডাস্টবিন থাকতেও সেটা ব্যবহার করেছেন না অধিকাংশ পর্যটক। ফলে একপ্রকার বিপাকে পড়েছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এমনকি সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বনদপ্তরেরও। এদিন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তিন সদস্য সুমন চৌধুরী, অভিষেক ঘোষ ও শম্ভু মির্ধা নদী ও তীরবর্তী অঞ্চল পরিষ্কার করেন। নদীর এমন দৃষ্টিকটু চিত্র দেখে তাঁরা নিজ উদ্যোগে এলাকাটিকে পরিচ্ছন্ন করে সেটাকে বজায় রাখার বার্তাও দেন। এতে আগত পর্যটকদের এলাকাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে অনুরোধও করেন। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছে বনদপ্তর থেকে শুরু করে উপস্থিত পর্যটকরা। সুমন, অভিষেক ও শম্ভুর কথায়, 'সবার কাছে অনুরোধ, প্রকৃতি যদি আমাদের মা হয় তবে আমি, আপনি, নদী, গাছপালা, বণ্যপ্রাণী সবাই সেই মায়ের সন্তান। সবাই মিলে পরিবেশকে বাঁচিয়ে না রাখলে একদিন সিমেন্ট-বালির কাঠামো ছাড়া আর কিছু থাকবে না। তাই সচেতন হতে সকলে অনুরোধ করছি আমরা।'