Trump-Putin Meeting: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার মার্কিন মাটিতেই— আলাস্কার ঐতিহাসিক মঞ্চে মুখোমুখি হলেন দুই শক্তিধর দেশের শীর্ষ নেতা। বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান খোঁজা। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনা চললেও অচলাবস্থার অবসান হয়নি। দুই রাষ্ট্রনেতা যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন—
“অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা একমত হয়েছি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের মূল সমস্যার সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি। তবুও আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।” হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, এই বৈঠককে শুধু শুরু হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলাতে ও ইউক্রেন সংকট নিরসনে আগামী দিনে ফের বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন— “আমরা ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও কিছু বিষয়ে এগোতে পেরেছি। এই সংলাপ চলতে থাকুক, সেটাই সবচেয়ে জরুরি।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক বিশ্ব রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি করলেও, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এখনও অন্ধকারে ঢাকা।
\২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা! রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপের পর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দেয়। শুক্রবার আলাস্কায় এক ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কিনছে এমন দেশগুলির উপর অতিরিক্ত সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ নাও করতে পারেন।
ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়েছিল এর আগেই। রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ট্রাম্প ভারতের উপর ৫০% শুল্ক চাপান, যা বিশ্বের যে কোনও দেশের ওপর আরোপিত শীর্ষ হারের মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই নয়, ভারতের অর্থনীতিকে তিনি “মৃত” বলেও কটাক্ষ করেন। অন্যদিকে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— এই শুল্ক “অন্যায় ও অযৌক্তিক।”