মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহর জুড়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সর্বত্রই। মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা, LIC মোড়, বিধাননগর-সহ একাধিক জায়গায় বড় বড় গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে একাধিক এলাকা। এমনকি বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। (রিপোর্টার: শোভন দাস)
অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল মেদিনীপুর পদ্মাবতী শ্মশান ঘাটের মৃতদেহ দাহ করার ইলেকট্রিক চুল্লির চিমনি। ফলে একপ্রকার চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করা বন্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মেদিনীপুর শহর-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ব্যপক ঝড়বৃষ্টি হয়। আর তাতেই মেদিনীপুর শহর জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে একাধিক জায়গায়। সেই ঝড়েই ভেঙে পড়ে শ্বশান ঘাটের চুল্লির চিমনি। আগেই একটি চুল্লি খারাপ ছিল, একটি চুল্লিতেই দাহ হত মৃতদেহ, এটি বিকল হওয়ায় বন্ধ থাকল মৃতদেহ সৎকার। (রিপোর্টার: শোভন দাস)
খড়্গপুর কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রবল ঝড়ে দুমড়ে মুচলে পড়ল অনুষ্ঠানের গোটা প্যান্ডেল। ভিতরেই তখন একাধিক ছাত্রছাত্রী। মঞ্চে গান গাইছিলেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক সতীশ গজমের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল খড়্গপুর কলেজে। খবর পেয়ে কলেজে পৌঁছলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপক সরকার। ছাত্রছাত্রীদের খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। (রিপোর্টার: শোভন দাস)
ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। ঘটনাটি খড়্গপুরের মাদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বলরামপুর গ্রামের। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবনির্মিত এই পানীয় জলের ট্যাঙ্কটি উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কিন্তু নবনির্মিত জল ট্যাঙ্ক থেকে পড়ছে ঝরঝরিয়ে জল। এত পরিমাণে জল পড়ছে যে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশেপাশের বাড়িগুলি। বাধ্য হয়ে আশেপাশের মানুষেরা নিজেরাই ওই এলাকা থেকে জল বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় স্থানীয়রা। (রিপোর্টার: শোভন দাস)
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল খড়্গপুর ২ নং ব্লকের লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লছমাপুর উত্তর বুথের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। যদিও ওই সময় কার্যালয়ে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ঝড়বৃষ্টিতে তৃণমূল কার্যালয়ের অধিকাংশ অংশ ভেঙে পড়ে। ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দলীয় কার্যালয়ে ভেতরে থাকা ব্যানার, ফেস্টুন-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। (রিপোর্টার: শোভন দাস)