West Bardhaman News : বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের পায়ে পায়ে যুদ্ধ
Last Updated:
এই খেলা দেখতে স্থানীয় বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে।
অনেকেই বলেন, বিবাহিত জীবন নাকি বন্দিদশা। একটা সময় যে ছেলে সারাদিন ঘরের বাইরে থাকত, মাঠে-ঘাটে সময় কাটাতো, বিবাহ বন্ধনের পর তারা কার্যত ঘরকুনো হয়েই থাকেন। এতো গেল বিবাহিতদের নিয়ে অবিবাহিতদের খিল্লি। আবার বিবাহিতরা বলেন, কাজের চাপ, ঘর সংসার সামলানোর দায়িত্ব একা হাতে সামাল দিতে আর নিজের জন্য সময় থাকে না।
advertisement
আসলে অবিবাহিত এবং বিবাহিতদের জীবন যাপন নিয়ে এই সমাজে অদৃশ্য এক বেড়াজাল রয়েছে। কিন্তু সেই বেড়াজাল ভেঙে দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোটা গ্রামের স্থানীয় একটি ক্লাব। বিবাহিত বন্ধুদের আবার মাঠে ফিরিয়ে আনতে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ ফুটবল ম্যাচের। বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল কোটা গ্রামে।
advertisement
উল্লেখ্য কোটা গ্রামে বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা রকম ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। কখনো কারোর স্মৃতির উদ্দেশ্যে, কখনও বিশেষ দিন উপলক্ষে ছোটখাটো ফুটবল টুর্নামেন্ট অথবা ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবারে একটু বিশেষভাবে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের চিন্তাভাবনা করেছিলেন উদ্যোক্তারা। সেজন্যই তারা পুরনো বন্ধুদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
advertisement
advertisement
কোটা গ্রামের স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে মোট চারটি টিমকে নিয়ে এই ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিল দুটি বিবাহিত ফুটবল টিম, এবং দুটি অবিবাহিত ফুটবল টিম। স্থানীয় এবং আশপাশের খেলোয়াড়দের নিয়েই এই চারটি টিম গঠন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তারা বলছেন, এখানে জয় পরাজয় টা বড় ব্যাপার ছিল না। যে সমস্ত মানুষজন সময়ের অভাবে মাঠে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাদের আবার মাঠে ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ তারা গ্রহণ করেছিলেন।
advertisement
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে যেমন অন্যান্য সতীর্থরা আনন্দিত হয়েছিলেন, তেমনভাবেই উদ্যোক্তাদের লক্ষ্যও সফল হয়েছে। এই খেলা দেখতে স্থানীয় বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে। পাশাপাশি জয়ী দলের জন্য বিশেষ ট্রফি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। উদ্যোক্তারা চান আগামী দিনে আরও এই ধরনের ম্যাচের আয়োজন করতে, যাতে মাঠ ছেড়ে যাওয়া বন্ধুরা আবার মাঠে ফিরে আসার সুযোগ পান।
