পশ্চিম বর্ধমান : চাঁদি ফাটা রোদে শেষ হবে চৈত্র। বছরের প্রথম দিনও খুব একটা সুখবর হবে না। তীব্র জ্বলনে আবহাওয়া নিয়ে শুরু হবে নতুন বছর। হাওয়া অফিসের ইঙ্গিত তেমনটাই। আবহাওয়া দফতরের সর্তকতা, আগামী পাঁচ দিন হু হু করে বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা, আজ সোমবার ১০ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ বাড়বে অনেকটাই। সঙ্গে চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। কলকাতাতে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছাড়িয়ে যাবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম বাড়বে আরও খানিকটা। থাকবে শুকনো আবহাওয়া। একই সঙ্গে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়বে।
বেলা একটু বাড়লে দাপট বাড়বে গরম হাওয়ার। অর্থাৎ লু বইবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বলে জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা বাড়বে খানিকটা। বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্কতা নিতে হবে। প্রকোপ বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বিগত সাত বছরের উষ্ণতম এপ্রিল মাস দেখবে বাংলা। এর আগে ২০১৬ সালে এমন গরম দেখা গিয়েছিল। পশ্চিমের জেলাগুলি সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে জেলাগুলি তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে। দক্ষিণবঙ্গের ৬ - ৭ জেলা বিশেষ করে কাবু হয়ে যাবে গরমের জেরে। তালিকায় রয়েছে দুটি বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলি। প্রত্যেকটি জেলায় স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বাড়বে আগামী কয়েক দিনে।
এমন প্রলয়কারী গরমের আভাস দেখে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছেন আবহবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা। এ সময় মানুষজনকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বেলার দিকে রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করছেন তারা। একই সঙ্গে বিরত থাকতে বলছেন ফাস্টফুড খাওয়া থেকে। পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ঢিলেঢালা পোশাক পরার। পারলে সাদা রঙের পোশাক পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গরম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে। একইসঙ্গে বেশি করে জল খেতে বলা হয়েছে।