Time Travel: টাইম ট্র্যাভেলের মাধ্যমে কি অতীতে ফিরে যাওয়া সম্ভব? সাম্প্রতিক গবেষণা যা বলছে, নড়েচড়ে বসছে গোটা বিশ্ব
- Published by:Ananya Chakraborty
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
Time Travel: দ্য টাইম মেশিন এবং ব্যাক টু দ্য ফিউচারের মতো কল্পবিজ্ঞানের ক্লাসিক গল্প থেকে শুরু করে ইন্টারস্টেলারের মতো সমসাময়িক ছবির মধ্যে দিয়ে অতীত কিংবা ভবিষ্যতের ঝলক পাওয়ার প্রত্যাশা উঠে এসেছে। কিন্তু এই ধারণা পদার্থবিদ্যার এক গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। টাইম ট্র্যাভেল কি আদৌ সম্ভব?
দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রিয় কল্পনার জগৎ হল টাইম ট্র্যাভেল। দ্য টাইম মেশিন এবং ব্যাক টু দ্য ফিউচারের মতো কল্পবিজ্ঞানের ক্লাসিক গল্প থেকে শুরু করে ইন্টারস্টেলারের মতো সমসাময়িক ছবির মধ্যে দিয়ে অতীত কিংবা ভবিষ্যতের ঝলক পাওয়ার প্রত্যাশা উঠে এসেছে। কিন্তু এই ধারণা পদার্থবিদ্যার এক গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। টাইম ট্র্যাভেল কি আদৌ সম্ভব? আর যদি তা হয়ও, সেটা কোন অবস্থায় সম্ভব?
advertisement
এই ধারণার শিকড়: টাইম ট্র্যাভেলের ধারণা আধুনিক পদার্থবিদ্যারও অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এইচ.জি ওয়েলস-এর দ্য টাইম মেশিন (১৮৯৫) এটিকে লিটারারি ডিভাইস হিসেবে তুলে ধরেছে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর আগেই বিজ্ঞান এই সম্ভাবনার সঙ্গে আন্তরিকভাবে লড়াই করতে শুরু করে। অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব দেখিয়ে দিয়েছিল যে, সময় পরম বা ধ্রুবক নয় - এটি ভ্রমণের গতি এবং মাধ্যাকর্ষণের উপর নির্ভর করে প্রসারিত এবং সঙ্কুচিত হতে পারে।
advertisement
কখনও কি টাইম ট্র্যাভেল সম্ভব হবে? বর্তমানে এই সংক্রান্ত কোনও গবেষণা ভিত্তিক তথ্য প্রমাণ নেই যে, অতীতে টাইম ট্র্যাভেল করা সম্ভব। বেশির ভাগ পদার্থবিদের বিশ্বাস যে, কোয়ান্টাম প্রভাব, শক্তির সীমাবদ্ধতা অথবা স্থানকালের জ্যামিতির গভীর বৈশিষ্ট্যগুলি শেষ পর্যন্ত এটিকে বাধা প্রদান করে। এমনকী কেউ কেউ তো যুক্তি দিয়ে এ-ও দাবি করেছেন যে, টাইম ট্র্যাভেল তাপগতিবিদ্যা বা থার্মোডায়নামিক্সের দ্বিতীয় সূত্র লঙ্ঘন করতে পারে। যেখানে নির্দেশ করা হয় যে, এনট্রপি - ডিজঅর্ডার - সর্বদা বৃদ্ধি পায়।
advertisement
advertisement
কিন্তু আজ আমরা এই টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে কেন এত চিন্তা করি? এর একটা কারণ থাকতে পারে যে, এটি এজেন্সির চূড়ান্ত রূপের প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষ করে হারানো মুহূর্তগুলিকে আবার দেখার, ভুলগুলি সংশোধন করার অথবা সূচনার দিনগুলি দেখার ক্ষমতা প্রাপ্তির জন্য তো বটেই। কিন্তু আপাতত সময় কেবল সামনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
advertisement
তবুও মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের তত্ত্বগুলি যত গভীর হয় এবং আমাদের প্রযুক্তিও উন্নত হয়, সেক্ষেত্রে প্রশ্নটি এখনও থেকেই যায় — ততক্ষণ পর্যন্ত টাইম ট্র্যাভেল গবেষণাগারে নয়, বরং বইয়ের পাতায় এবং সিনেমার পর্দায় সবচেয়ে ভাল ভাবে জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে, যেখানে কল্পনা পদার্থবিদ্যার যে কোনও কণার তুলনায় দ্রুত গতিতে ভ্রমণ করে।