টোটো কেমন গাড়ি, ভারতকে চিনিয়েছিলেন ইনি! তাঁর জন্য সংসার চলছে বহু মানুষের

Last Updated:
Toto- এখন রাস্তা জুড়ে টোটো। অনেকেই বিরক্ত। যানজট হচ্ছে। তবে সুবিধেও হয়েছে বিস্তর, সেটাও অস্বীকার করা যায় না। বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বের জন্য তো আদর্শ যান হল এই টোটো।
1/7
অনিল কুমার রাজবংশীকে চেনেন? হাঠাত এই প্রশ্ন করলে অনেকেই আকাশ থেকে পড়বেন। তিনি আবার কে? মুখ ভর্তি সাদা চাপ দাড়ি। পেতে আঁচড়ানো চুল। সদা হাস্যময় ছোটখাটো চেহারার এই মানুষটিই ভারতে ই-রিকশার জনক।
অনিল কুমার রাজবংশীকে চেনেন? হাঠাত এই প্রশ্ন করলে অনেকেই আকাশ থেকে পড়বেন। তিনি আবার কে? মুখ ভর্তি সাদা চাপ দাড়ি। পেতে আঁচড়ানো চুল। সদা হাস্যময় ছোটখাটো চেহারার এই মানুষটিই ভারতে ই-রিকশার জনক।
advertisement
2/7
এখন রাস্তা জুড়ে টোটো। অনেকেই বিরক্ত। যানজট হচ্ছে। তবে সুবিধেও হয়েছে বিস্তর, সেটাও অস্বীকার করা যায় না। বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বের জন্য তো আদর্শ। বাড়ি থেকে বাজার যাবেন। বাইক বা সাইকেল নেই। মুশকিল আসান টোটো। কাছেপিঠে স্কুল-কলেজ হলেও নিশ্চিন্তে যাওয়া যায়।
এখন রাস্তা জুড়ে টোটো। অনেকেই বিরক্ত। যানজট হচ্ছে। তবে সুবিধেও হয়েছে বিস্তর, সেটাও অস্বীকার করা যায় না। বিশেষ করে স্বল্প দূরত্বের জন্য তো আদর্শ। বাড়ি থেকে বাজার যাবেন। বাইক বা সাইকেল নেই। মুশকিল আসান টোটো। কাছেপিঠে স্কুল-কলেজ হলেও নিশ্চিন্তে যাওয়া যায়।
advertisement
3/7
সবচেয়ে বড় কথা হল পরিবেশবান্ধব। ব্যাটারিতে চলে। চার্জ দিতে হয়। ফলে দূষণের চিন্তা নেই। ভারতে এই টোটো বা ই-রিকশার আদি রূপ এসেছিল অনিল কুমার রাজবংশীর হাত ধরেই। তাঁকেই বলা হয় ‘ফাদার অফ ই-রিকশা ইন ইন্ডিয়া’।
সবচেয়ে বড় কথা হল পরিবেশবান্ধব। ব্যাটারিতে চলে। চার্জ দিতে হয়। ফলে দূষণের চিন্তা নেই। ভারতে এই টোটো বা ই-রিকশার আদি রূপ এসেছিল অনিল কুমার রাজবংশীর হাত ধরেই। তাঁকেই বলা হয় ‘ফাদার অফ ই-রিকশা ইন ইন্ডিয়া’।
advertisement
4/7
অনিল কুমার রাজবংশী একাধারে বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার। সেটা প্রায় ৩০ বছর আগের কথা। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের ফাল্টনে ইলেকট্রিক রিকশা তৈরির কাজে হাত দেন অনিল। পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ২০০০ সালে তৈরি হয় ই-রিকশার প্রথম প্রোটোটাইপ। হইচই পড়ে যায় গোটা দেশে।
অনিল কুমার রাজবংশী একাধারে বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার। সেটা প্রায় ৩০ বছর আগের কথা। ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের ফাল্টনে ইলেকট্রিক রিকশা তৈরির কাজে হাত দেন অনিল। পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ২০০০ সালে তৈরি হয় ই-রিকশার প্রথম প্রোটোটাইপ। হইচই পড়ে যায় গোটা দেশে।
advertisement
5/7
অনিল যখন বিশ্বের সামনে তাঁর প্রথম প্রোটোটাইপকে সামনে আনলেন, চমকে গিয়েছিল বাঘা বাঘা কোম্পানি। অনেকেই সেটা কপি করেন। তারপর শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ই-রিকশাকে যে যার নিজের মতো রূপ দিতে শুরু করেন। তবে সলতে পাকানোর কাজটা অনিলই করেছিলেন।
অনিল যখন বিশ্বের সামনে তাঁর প্রথম প্রোটোটাইপকে সামনে আনলেন, চমকে গিয়েছিল বাঘা বাঘা কোম্পানি। অনেকেই সেটা কপি করেন। তারপর শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ই-রিকশাকে যে যার নিজের মতো রূপ দিতে শুরু করেন। তবে সলতে পাকানোর কাজটা অনিলই করেছিলেন।
advertisement
6/7
ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন অনিল। আইআইটি কানপুর থেকে স্নাতক হন। তারপর চলে যান আমেরিকার ফ্লোরিডায়। শুরু হয় উচ্চশিক্ষা। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। বিদেশে থিতু হওয়ার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে কেউ দেশে ফেরে? খুব রেগে গিয়েছিলেন অনিলের বাবা। তবে ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী।
ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন অনিল। আইআইটি কানপুর থেকে স্নাতক হন। তারপর চলে যান আমেরিকার ফ্লোরিডায়। শুরু হয় উচ্চশিক্ষা। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। বিদেশে থিতু হওয়ার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে কেউ দেশে ফেরে? খুব রেগে গিয়েছিলেন অনিলের বাবা। তবে ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী।
advertisement
7/7
অনিল এমনই। তাঁর মাথায় সারাক্ষণ নতুন নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা ঘুরপাক খায়। শুধু ই-রিকশা নয়, অ্যালকোহল চালিত স্টোভও তৈরি করেছেন তিনি। এটা কেরোসিন চালিত এবং আধুনিক কুকিং স্টোভগুলোর চেয়ে শুধু অনেক ভাল নয়, দামেও সস্তা। নিত্য নতুন আবিষ্কার নিয়ে মেতে থাকেন অনিল। তাঁর নামে ৭টি পেটেন্ট রয়েছে। মহাত্মা গান্ধিকে আদর্শ মানেন। ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে কেন্দ্র সরকার। তবে কোনওদিনই সেভাবে প্রচারে আসেননি। আজও খুব কম লোকই অনিল কুমার রাজবংশীকে চেনেন। তাঁর ই-রিকশা উদ্ভাবনের খোঁজ রাখেন।
অনিল এমনই। তাঁর মাথায় সারাক্ষণ নতুন নতুন উদ্ভাবনের চিন্তা ঘুরপাক খায়। শুধু ই-রিকশা নয়, অ্যালকোহল চালিত স্টোভও তৈরি করেছেন তিনি। এটা কেরোসিন চালিত এবং আধুনিক কুকিং স্টোভগুলোর চেয়ে শুধু অনেক ভাল নয়, দামেও সস্তা। নিত্য নতুন আবিষ্কার নিয়ে মেতে থাকেন অনিল। তাঁর নামে ৭টি পেটেন্ট রয়েছে। মহাত্মা গান্ধিকে আদর্শ মানেন। ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে কেন্দ্র সরকার। তবে কোনওদিনই সেভাবে প্রচারে আসেননি। আজও খুব কম লোকই অনিল কুমার রাজবংশীকে চেনেন। তাঁর ই-রিকশা উদ্ভাবনের খোঁজ রাখেন।
advertisement
advertisement
advertisement