ফ্রিজ কি রোজ এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা উচিত? উত্তর জানলে চমকে উঠবেন, বিশেষজ্ঞদের মত

Last Updated:
যে কোনও ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের নির্মাতারা তা জানিয়ে দেন। তবে, ম্যানুয়ালের ভাষা অনেকেরই বোধগম্য হয় না, তাই এর উত্তর জেনে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বইকি!
1/7
কলকাতা : প্রশ্নটা উঠছে প্রধানত দুই কারণে। সবার আগে প্রথম কারণটায় আসা যাক! যে কোনও ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের নির্মাতারা তা জানিয়ে দেন। তবে, ম্যানুয়ালের ভাষা অনেকেরই বোধগম্য হয় না, তাই এর উত্তর জেনে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বইকি!
কলকাতা : প্রশ্নটা উঠছে প্রধানত দুই কারণে। সবার আগে প্রথম কারণটায় আসা যাক! যে কোনও ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে, সংশ্লিষ্ট জিনিসের নির্মাতারা তা জানিয়ে দেন। তবে, ম্যানুয়ালের ভাষা অনেকেরই বোধগম্য হয় না, তাই এর উত্তর জেনে নেওয়ার প্রয়োজন আছে বইকি!
advertisement
2/7
দ্বিতীয় কারণটা হল অভ্যাস! সঠিক ভাবে বললে বহু বছর ধরে ফ্রিজ ব্যবহারের অভ্যাস। দেশে প্রথম ফ্রিজ এসেছিল ১৯৫৮ সালে, সেই সময়ে নির্মাতার পুরো নাম ছিল গদরেজ অ্যান্ড বয়েস। এখন চলছে ২০২৫ সাল, মোটামুটি ৬৭ বছর পার হয়ে এল! মধ্যবিত্ত বাঙালির কথা ধরলে ফ্রিজ ব্যবহারের অভ্যাস ৫০ বছর হবে মেরেকেটে। সেই সময়ে, ফ্রিজ ব্যবহারের প্রথম দিকে তা দিনে কোনও এক সময়ে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখা রেওয়াজ ছিল, যাতে কম্প্রেসর খারাপ না হয়ে যায়!
দ্বিতীয় কারণটা হল অভ্যাস! সঠিক ভাবে বললে বহু বছর ধরে ফ্রিজ ব্যবহারের অভ্যাস। দেশে প্রথম ফ্রিজ এসেছিল ১৯৫৮ সালে, সেই সময়ে নির্মাতার পুরো নাম ছিল গদরেজ অ্যান্ড বয়েস। এখন চলছে ২০২৫ সাল, মোটামুটি ৬৭ বছর পার হয়ে এল! মধ্যবিত্ত বাঙালির কথা ধরলে ফ্রিজ ব্যবহারের অভ্যাস ৫০ বছর হবে মেরেকেটে। সেই সময়ে, ফ্রিজ ব্যবহারের প্রথম দিকে তা দিনে কোনও এক সময়ে কিছুক্ষণ বন্ধ করে রাখা রেওয়াজ ছিল, যাতে কম্প্রেসর খারাপ না হয়ে যায়!
advertisement
3/7
কিন্তু, সেই দিন এখন আর নেই। সময় যত এগিয়েছে, প্রযুক্তি তত উন্নত হয়েছে। ফলে, এই সময়ের দিকে তাকালে বলতেই হয় যে এখন আর ফ্রিজ বন্ধ করে রাখার কোনও দরকার নেই, এমনকি প্রতিদিন এক ঘণ্টাও নয়। কেন, সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক একে একে।
কিন্তু, সেই দিন এখন আর নেই। সময় যত এগিয়েছে, প্রযুক্তি তত উন্নত হয়েছে। ফলে, এই সময়ের দিকে তাকালে বলতেই হয় যে এখন আর ফ্রিজ বন্ধ করে রাখার কোনও দরকার নেই, এমনকি প্রতিদিন এক ঘণ্টাও নয়। কেন, সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক একে একে।
advertisement
4/7
১. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:আজকালকার ফ্রিজে থার্মোস্ট্যাট থাকে যা প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কম্প্রেসর চালু এবং বন্ধ করে। মানে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজ নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়, আলাদা করে তা করার কোনও দরকার নেই। শীতলতা কমে গেলে কম্প্রেসর আবার ফ্রিজের ভিতরটা ঠান্ডা করার কাজ শুরু করে দেয়।
১. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
আজকালকার ফ্রিজে থার্মোস্ট্যাট থাকে যা প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কম্প্রেসর চালু এবং বন্ধ করে। মানে, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজ নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়, আলাদা করে তা করার কোনও দরকার নেই। শীতলতা কমে গেলে কম্প্রেসর আবার ফ্রিজের ভিতরটা ঠান্ডা করার কাজ শুরু করে দেয়।
advertisement
5/7
২. ইলেকট্রিকে বিলে প্রভাব:ফ্রিজ বার বার চালু করলে এবং বন্ধ করলে একটানা চলার চেয়ে বেশি পাওয়ার খরচ হতে পারে। যার প্রভাব ইলেকট্রিক বিলে সামান্য হলেও পড়ে বইকি!
২. ইলেকট্রিকে বিলে প্রভাব:
ফ্রিজ বার বার চালু করলে এবং বন্ধ করলে একটানা চলার চেয়ে বেশি পাওয়ার খরচ হতে পারে। যার প্রভাব ইলেকট্রিক বিলে সামান্য হলেও পড়ে বইকি!
advertisement
6/7
৩. খাবার নষ্ট হওয়ার ভয়:দিনে কোনও এক সময়ে বন্ধ রাখলে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে। তা রোধ করার জন্য ফ্রিজের তাপমাত্রা স্থির রাখা প্রয়োজন। বার বার ফ্রিজ চালু এবং বন্ধ করলে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা তো পড়বেই! ৪. কম্প্রেসরের ক্ষতি:
ঘন ঘন চালু এবং বন্ধ করলে কম্প্রেসরের আয়ু কমে যেতে পারে। এখন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি, নিজেরা কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!
৩. খাবার নষ্ট হওয়ার ভয়:
দিনে কোনও এক সময়ে বন্ধ রাখলে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ও থাকে। তা রোধ করার জন্য ফ্রিজের তাপমাত্রা স্থির রাখা প্রয়োজন। বার বার ফ্রিজ চালু এবং বন্ধ করলে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা তো পড়বেই! ৪. কম্প্রেসরের ক্ষতি:
ঘন ঘন চালু এবং বন্ধ করলে কম্প্রেসরের আয়ু কমে যেতে পারে। এখন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি, নিজেরা কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি!
advertisement
7/7
৫. আর্দ্রতা এবং ছত্রাক:ফ্রিজ বন্ধ থাকলে ভিতরে আর্দ্রতা এবং ছত্রাক তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি বন্ধ করার আগে ভালভাবে পরিষ্কার না করা হয়। সেই ঝুঁকিই বা কে নিতে চাইবেন!

তবে হ্যাঁ, ফ্রিজ বন্ধ রাখা যায় বইকি, তার কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। ঘরের এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরাতে হলে ফ্রিজ বন্ধ করতেই হবে। ঠিক তেমনই ভেতরটা পরিষ্কার করতে হলেও তা বন্ধ করে নিতে হবে, চালু অবস্থায় ফ্রিজের দরজা খোলা রাখলে যে কম্প্রেসরের উপরে চাপ পড়বে, সে সবাই জানেন। অন্য দিকে, বাড়িতে বেশ কিছু দিন না থাকলে ফ্রিজ বন্ধ করে যাওয়াই উচিত হবে, তখন অবশ্য ভিতরে খাবারদাবার রেখে যাওয়া চলবে না!
৫. আর্দ্রতা এবং ছত্রাক:
ফ্রিজ বন্ধ থাকলে ভিতরে আর্দ্রতা এবং ছত্রাক তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি বন্ধ করার আগে ভালভাবে পরিষ্কার না করা হয়। সেই ঝুঁকিই বা কে নিতে চাইবেন!
তবে হ্যাঁ, ফ্রিজ বন্ধ রাখা যায় বইকি, তার কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি আছে। ঘরের এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরাতে হলে ফ্রিজ বন্ধ করতেই হবে। ঠিক তেমনই ভেতরটা পরিষ্কার করতে হলেও তা বন্ধ করে নিতে হবে, চালু অবস্থায় ফ্রিজের দরজা খোলা রাখলে যে কম্প্রেসরের উপরে চাপ পড়বে, সে সবাই জানেন। অন্য দিকে, বাড়িতে বেশ কিছু দিন না থাকলে ফ্রিজ বন্ধ করে যাওয়াই উচিত হবে, তখন অবশ্য ভিতরে খাবারদাবার রেখে যাওয়া চলবে না!
advertisement
advertisement
advertisement