Donald Trump News: আমেরিকার ইতিহাসে দীর্ঘতম অচলাবস্থার নিরসন! বিলে স্বাক্ষর করেই দিলেন ট্রাম্প! মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Donald Trump News: সপ্তাহের শুরুতেই সিনেটে পাস হওয়া বিলটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই সরকারি কর্মচারীরা কাজে ফেরার সুযোগ পাবেন।
আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ অচলাবস্থার (শাটডাউন) অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে খাদ্যসহায়তা আবার চালু, লক্ষাধিক সরকারি কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পক্ষে ভোট দেন কংগ্রেস সদস্যরা।
advertisement
রিপাবলিকান–নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে ২২২–২০৯ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। ট্রাম্পের সমর্থন তাঁর দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে। অবশ্য কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা তীব্রভাবে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তাঁরা ক্ষুব্ধ, কারণ সিনেটে দীর্ঘ অচলাবস্থা সত্ত্বেও ফেডারেল স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও চুক্তি করা যায়নি।
advertisement
সপ্তাহের শুরুতেই সিনেটে পাস হওয়া বিলটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই সরকারি কর্মচারীরা কাজে ফেরার সুযোগ পাবেন। অচলাবস্থার কারণে তাঁদের ৪৩ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। তবে আইনটিতে ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পরও সরকারি সেবা ও কার্যক্রম পুরোদমে কবে স্বাভাবিক হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
advertisement
হোয়াইট হাউসে বুধবার রাতে আইনটিতে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্প বলেন, এটা আর কখনও ঘটতে দেওয়া যাবে না। এভাবে কোনও দেশ চালানো যায় না। দুই পক্ষের চুক্তির ফলে সরকারের অর্থায়ন আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে আমেরিকার মোট ৩৮ ট্রিলিয়ন (৩৮ লাখ কোটি ডলার) ডলারের ঋণের সঙ্গে প্রতিবছর আরও প্রায় ১ লাখ ৮০ কোটি ডলার ঋণ যোগ হবে।
advertisement
advertisement
শোয়েইকার্ট আরও বলেন, ‘ভাবছিলাম, ব্যাপারটা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। সবাই একটু রাগ ঝেড়ে নেবে, তারপর কাজে ফিরবে। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে, রাগটাই নীতি হয়ে গেছে!’এ অচলাবস্থা শেষ হওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে বিশেষ করে বিমান চলাচল ব্যবস্থায়। দুই সপ্তাহ পরই থ্যাংকসগিভিং উপলক্ষে ছুটি এবং ভ্রমণ মৌসুম শুরু হচ্ছে। খাদ্যসহায়তা আবার চালু হলে লাখ লাখ পরিবার কিছুটা আর্থিক স্বস্তি পাবে। বড়দিনের কেনাকাটা মৌসুমে ভোক্তা ব্যয় বাড়াতে এটি সহায়তা করবে।
advertisement
