

গ্যাজেট (Gadgets) কেনা অনেকেরই শখের মধ্যে পড়ে। কিছু নতুন গ্যাজেট লঞ্চ হলেই তা কিনে ফেলার প্রবণতা থাকে অনেকের মধ্যে। ইয়ারফোন, হেডফোন, ট্যাব, ঘড়ি, সাউন্ড সিস্টেম- এগুলো অনেকে কাজের জন্য়ও কিনে থাকেন। এখন শখ এবং কাজ এই দুটোর পরও যদি কিছু থাকে তা হল, গ্যাজেটে ইনভেস্টমেন্ট স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে। যার প্রয়োজনীয়তাও থাকে অনেক সময়ে। এখন কী কী গ্যাজেট সেই তালিকায় আসতে পারে দেখে নেওয়া যাক।


এয়ার পিউরিফায়ার (Air Purifier) - বর্তমানে যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে এয়ার পিউরিফায়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিসে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শহরে যারা বাস করেন, ঘরের হাওয়া পরিষ্কারের জন্য তাঁদের ক্ষেত্রে এয়ার পিউরিফায়ার অত্যন্ত জরুরি। তাই অন্যান্য শখের বা পছন্দের জিনিসে ইনভেস্ট করার পাশাপাশি এয়ার পিউরিফায়ারেও ইনভেস্ট করা যেতে পারে। ঘরের সাইজ অনুযায়ী এয়ার পিউরিফায়ার (Air Purifier) বেছে নেওয়া যায়। ছোট ঘরের জন্য কম ক্যাপাসিটির, বড় ঘরের জন্য বেশি ক্যাপাসিটি প্রয়োজন! কী ভাবে বোঝা যাবে কোন ঘরের জন্য কত ক্যাপাসিটির এয়ার পিউরিফায়ার (Air Purifier) লাগবে? এর জন্য প্রথমেই দেখতে হবে পিউরিফায়ারটির ক্লিন এয়ার ডেলিভারি রেট বা CADR (Clean air delivery rate)। সাধারণত ২৫০ স্কোয়ারফিটের ঘরের জন্য ২৫০+ CADR লাগে।


এই ক্যাপাসিটির এয়ার পিউরিফায়ার (Air Purifier) যদি নেওয়ার থাকে তা হলে বর্তমানে বেশ কিছু ব্র্যান্ডে অফার মিলতে পারে। সব চেয়ে কম ৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এয়ার পিউরিফায়ারের দাম। আর একটু বেশি দামে গেলে পাওয়া যেতে পারে Mi Air Purifier 3। দাম পড়বে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। যদি এর থেকে বেশি দামে যাওয়া যায়, তা হলে ডিসন (Dyson) বা ব্লু এয়ার (BlueAir)-এর পিউরিফায়ার নেওয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র ঘরের ভিতরের জন্যই নয়, গাড়ির জন্যও প্রয়োজন হয় এয়ার পিউরিফায়ার। সে ক্ষেত্রে হানিওয়েল (Honeywell) বা ফিলিপসের (Philips)-এর পিউরিফায়ার নেওয়া যেতে পারে।


অ্যাকটিভিটি ট্র্যাকার (Activity Tracker) - অনেকেই অ্যাকটিভিটি ট্র্যাকার ব্যবহার করেন না বা ব্যবহারের কারণ খুঁজে পান না। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। এটি হার্ট রেট মনিটর (hearth rate monitoring) করা, হাঁটাচলা মনিটর করা, ঘুম পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি একাধিক বিষয়ের উপরs নজর রাখে। যা থেকে আদতে শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা আভাস পাওয়া যায়। Mi, Honor, Lenovo-র মতো কয়েকটি ব্র্যান্ড আছে, যারা কম দামে অ্যাকটিভিটি ট্র্যাকার দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও Mevofit-এর অ্যাকটিভিটি ট্র্যাকারও ভালো। আর এর থেকেও ভালো ব্যান্ড কিনতে চাইলে পাওয়া যেতে পারে ফিটবিট, জার্মিন বা স্যামসাংয়ের কোনও ব্যান্ড।


স্মার্ট ওয়াচ (Smart Watch) - ফিটনেস ব্যান্ড এক হাতে আর অন্য হাতে ঘড়ি মানায় না। অনেকেই পুরনো মডেলের কাঁটা দেওয়া ঘড়ি আর পছন্দ করেন না। তাঁদের জন্য সব চেয়ে ভালো ও উপযোগী গ্যাজেট স্মার্টওয়াচ। বড় স্ক্রিনের সঙ্গে ঘড়ি ও ফিটনেস ব্যান্ডের সুবিধে দেয় প্রায় প্রত্যেকটি স্মার্টওয়াচ। অ্যাপলের স্মার্টওয়াচের ক্ষেত্রে আরেকটু অ্যাডভান্সড ফিচার থাকে। যেমন, এমারজেন্সি সার্ভিসে কল করার সুবিধে, মেসেজ করার সুবিধে বা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পড়া, কল রিসিভ করার সুবিধে। অ্য়াপলের এই স্মার্ট ওয়াচ (Smart Watch)-এ ইসিম (eSim) ব্যবহারেরও সুবিধে পাওয়া যায়। যার ফলে হাতে স্মার্টওয়াচটি থাকলে সব সময়ে ফোনের দরকার পড়বে না। সাধারণত ফিটনেস ব্যান্ডগুলির থেকে অনেক বেশি দামি হয় এই স্মার্টওয়াচ (Smart Watch)।


স্মার্ট স্কেল (Smart Scale) - ব্লুটুথ (Bluetooth) বা Wifi দিয়ে নিজের স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করা যেতে পারে এই স্মার্ট স্কেলকে। একটি ফিটনেস ব্যান্ডের থেকে অনেক বেশি তথ্য শরীর সম্পর্কে এই ডিভাইজটি দিতে পারে। ওজন, BMI রেট, হার্ট রেট (Heart rate), মেদ (fat), বোন মাস ( bone mass), বডি ওয়াটার (body water) ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য পেলে শরীরের পরিস্থিতি কী, তা সহজেই বোঝা যায়। স্মার্ট স্কেলের দাম শুরু হচ্ছে ভারতে ১৮০০ টাকা থেকে। Mi, Lenovo-র স্মার্ট স্কেল পাওয়া যেতে পারে কম বাজেটে। আরেকটু বেশি টাকা দিতে চাইলে মিলতে পারে ফিটবিট (Fitbit) বা নোকিয়া (Nokia)-র স্মার্ট স্কেল।