Yearender 2018: সোনার মেয়ে স্বপ্না, সাফল্যের শিখরে হিমা-মেহুলিও
Last Updated:
advertisement
পরিবারে তীব্র মানসিক কষ্ট। বাবা শয্যাশায়ী। এশিয়াডে নামার আগেই নিজেকে মানসিকভাবে অনেকটাই তৈরি রেখেছিলেন স্বপ্না। দু’পায়ে ছ’টি করে মোট ১২টি আঙুল। চোট-আঘাত নিত্যসঙ্গী। কিন্তু তা সত্ত্বেও থামানো যায়নি স্বপ্নাকে। তিনিই ফের বাংলায় সোনার আলো ফোটালেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে জাকার্তা এশিয়াডে হেপ্টাথলনে সোনা। ইতিহাস তৈরি করা। নিউজ 18 বাংলার রাইজিং বেঙ্গলে সোনার মেয়েকে সম্মানিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরে রাজ্য সরকারের তরফে পুরস্কার, বাড়ির জন্য জায়গা। সাধেই কি স্বপ্নপূরণের আরেক নাম স্বপ্না।
advertisement
২০১৮-এ বাংলার আরেক প্রাপ্তি বৈদ্যবাটির বন্দুকবাজ মেয়ে মেহুলি ঘোষ। গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ থেকে বছর শেষে যুব অলিম্পিক। ছাপ ফেলে গিয়েছেন বৈদ্যবাটির মেয়ে। বিভিন্ন বাধা টপকে জুনিয়র পর্যায়ে সাফল্য এসেছিল। তবে সিনিয়রে প্রথম সাফল্য পাওয়া এই বছরেই। গোল্ড কোস্টে ফাইনাল হিটটা পারফেক্ট হলে সোনা নিয়ে ফিরতেন অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকারের ছাত্রী।
advertisement
দু’টো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আহামরি ফল হয়নি। নিয়মের বেড়াজালে জায়গা হয়নি জাকার্তাগামী এশিয়াডের বিমানে। তবে সাফল্য ছিল মেহুলির পিছুপিছু। আর সেটা এল দেবীপক্ষে। মেহুলির বাজিমাত বছর শেষের বুয়েনস আয়ার্সে যুব অলিম্পিকে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে। যুব অলিম্পিকে কোনও বাঙালি অ্যাথলিট হিসেবে নজির গড়েন মেহুলি। তারপরই জার্মানির শুটিং বুন্দেশলিগায় বাঙালি কন্যার দাদাগিরি। তবে শুধু ১০ মিটার এয়ার রাইফেল নয়। নতুন বছর থেকে কোচের পরামর্শ মত মেহুলির লিস্টে থাকছে ৫০ মিটার প্রোন ও থ্রি পজিশন শুটিং।
advertisement
হিমা দাস। ২০১৮-তে ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সেনসেশন। তবে খবরে আসেন বিতর্কিত কারণে। ফিনল্যান্ডে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার ইভেন্টে সোনা জেতেন তরুণ অ্যাথলিট। সাক্ষাৎকারে তাঁর ইংরেজি বলার ধরণ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বলা ভাল, বিতর্ক তৈরি করে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। সাক্ষাৎকারের ভিডিও ট্যুইট করে। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। যদিও সব স্তরের মানুষ পাশে দাঁড়ান হিমার। বেগতিক দেখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। বছরটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে অসমের তরুণীর। বিশেষ করে জাকার্তা এশিয়াডে। মেয়েদের ৪০০ মিটারে অল্পের সোনা ফসকে রুপো। আর সেরাটা তোলা ছিল মিক্সড রিলে ইভেন্টে। মহম্মদ আনাস, দ্যুতি চাঁদকে সঙ্গী করে সোনার স্বাদ। ২০০২ বুসান এশিয়াডের পর। সেবারের টিমে ছিলেন বাঙালি সরস্বতী সাহা। সঙ্গে কেএম বিনামল ও সুনীতা রানি। আবার ইতিহাস ছুঁয়ে যেন আকাশে ভাসছেন হিমা। সেইসঙ্গে বিখ্যাত জুতো তৈরির কোম্পানি অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তি। আর ইউনিসেফের প্রথম ইয়ুথ অ্যাম্বাসাডরও।