নীরজ বলছিলেন, ছোটবেলায় দূরদর্শনে দেখতাম, আজকের দিনে প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লা থেকে বক্তৃতা দেন। কখনও ভাবিনি, আমি এখানে এসে এমন দিনে বসতে পারব। আমি খুব সাধারণ ঘরের ছেলে। অথচ আমিই এখন গোটা দেশের মুখ। পরিশ্রম ফল দেয়। আমিই তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ। নতুন প্রজন্মকে বলব, পরিশ্রম করো, নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। কাজের থেকে বড় দেশপ্রেম আর কিছুই নেই।
নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা দিবসে বার্তাও দিলেন নীরজ। বললেন, সোশ্যাল মিডিয়া নকল দুনিয়া। সেখানে কয়েকটা লাইক, কমেন্টের-এর পিছনে ছোটা আসলে সময় নষ্ট। নিজের কাজ দিয়েই দেশপ্রেম প্রমাণ করা যায়। জীবনের অনেক বড়। শুধুমাত্র মজায় জীবনটা কাটিয়ে দিলে চলবে না বড় করে ভাবতে হবে। এটা নতুন ভারত। এই ভারত বড় স্বপ্ন দেখে। আর সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য যা করারা তাই করে।
অলিম্পিক্সের মতো ইভেন্টে সোনা জয় হয়েছে। আর কী চাই! এবার কি তবে ট্রেনিংয়ে ঘাম ঝড়ানো কমবে! নীরজ বলে গেলেন, সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করাটাই আসল সাফল্য। না হলে লোকে বলবে একটা দিন তো সবাই পারে। আপাতত স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরব। তার পর নতুন কোনও মঞ্চে আবার দেশকে সোনা জেতাতে নামব। আমি সাফল্যকে কখনও মাথায় উঠতে দিই না। সোনা জয় আমার ও দেশের কাছে গর্বের। কিন্তু একটা সোনা জিতে বসে থাকার মতো ক্রীড়াবিদ আমি নই।