West Bengal News: আর চিৎকার করবেন না বৃদ্ধা, কী নির্দয় ছেলে-বৌমা! অত্যাচারে সব শেষ! চোখে জল কাঁথির
- Published by:Suman Biswas
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
West Bengal News: ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে করতে একসময় প্রাণ হারাতে হল বৃদ্ধা মাকে।
কাঁথি, মদন মাইতি; নিজে না খেয়ে সন্তানকে মানুষ করেছিলেন মা। শেষ পর্যন্ত সেই ছেলে ও বৌমার হাতেই প্রাণ দিতে হলো তাঁকে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানার মুকুন্দপুর গ্রামে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে করতে একসময় প্রাণ হারাতে হলো বৃদ্ধা মাকে। ঘটনার পর গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, তৈরি হয়েছে ক্ষোভ এবং আতঙ্ক। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতার ছেলে রাজেন্দ্র নাথ গিরি ও পুত্রবধূ সোমালি প্রধান গিরি প্রায়শই বৃদ্ধা শাশুড়িকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে চলত অশান্তি। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন, প্রায়শই তাঁরা রানু গিরির আর্তচিৎকার শুনতেন। সেদিনও গৃহকোন্দলের জেরে বৃদ্ধাকে ঠেলে ফেলে দেন অভিযুক্তরা, এরপরই তিনি গুরুতর আহত হন। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
গুরুতর আহত অবস্থায় রানু গিরিকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসারত অবস্থায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। একদিকে গোটা পরিবারে নেমে আসে কান্নার রোল, অন্যদিকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। প্রতিবেশীরা কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, যে ছেলে-বৌমার ভরসাতেই তাঁর বেঁচে থাকার কথা, তারাই মৃত্যুর কারণ। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা রানু গিরিথ স্বামী কয়েক বছর আগে আগে রবীন্দ্রনাথ গিরির কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়। তাঁর স্বামী ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি ছেলে ও বৌমার সঙ্গেই থাকতেন তিনি। সংসারের আশা ভরসা ছিলেন ওই ছেলে। অথচ শেষ বয়সে সেই ছেলে এবং বৌমাই হয়ে উঠল মৃত্যুর কারণ। ঘটনাটি গ্রামে গভীর ক্ষোভ তৈরি করেছে। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ মুকুন্দপুর গ্রাম। প্রতিবেশীরা জানান, রানু গিরি ছিলেন ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের মানুষ। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেকেই আশ্রয় হিসেবে ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ছেলে বৌমাই একদিন মায়ের প্রাণ কেড়ে নিল। এক প্রতিবেশী বলেন, “এটা শুধু অপরাধ নয়, মানবিকতার বিরুদ্ধে জঘন্য কাজ। আমরা চাই, দোষীদের কড়া শাস্তি হোক।” (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
